
জানাগেছে,আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবেই পূর্বপরিচিত। বর্তমান সাংসদ ফরিদুল হক এবারও নৌকার প্রার্থী। তিনি রাস্তা ঘাট,নদী শাসন,চরাঞ্চল পূর্বাঞ্চলে পরিনত করা সহ ব্যাপক উন্নয়ন করায় ভোটাররা আবারো তিনি এমপি হবেন বলে সাধারন মানুষ জানান। বর্তমান সাংসদ ফরিদুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন- দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে প্রায় ২হাজার কোটি টাকার কাজ করেছি, ব্যাপক উন্নয়ন উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়নের ধারা রক্ষায় আবারো সবাই নৌকায় ভোট দেবেন। কোন প্রার্থীর প্রভাব পরবেনা।
আরো জানাযায়, ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ ওরফে বাবু ২০০১ সালে নির্বাচিত হন। তিনিও এ আসনটি পূর্নধার করতে তিনিও দিনরাত ভোটের মাঠে রয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে এই আসনে জাতীয় পার্টির আবির্ভাব ঘটেছে এই আসনে। গত এক বছর জাতীয় পার্টির প্রার্থী তাঁর প্রচার-প্রচারণায় উপজেলার হাটবাজার উত্তাল করে রেখেছিলেন। একেক সময় একেক রকম শোডাউনে অন্য আসনের চেয়ে এখানে সংসদ নির্বাচন অনেক আগ থেকেই জমে উঠেছে। এবার এই আসন ব্যতিক্রম।
এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ফরিদুল, ধানের শীষের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ ও জাতীয় পার্টির মোস্তফা আল মাহমুদ। এ ছাড়া এ আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মনজুরুল আহসান খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. মিনহাজ উদ্দিন থাকলেও তাঁদের উল্লেখ্য যোগ্য প্রচার-প্রচারণা দেখা যাচ্ছে না।
অন্তত্য ২০জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই আসনে আওয়ামী লীগের ফরিদুল হক খান উন্নয়নের কারনে ই বিজয়ী হবেন। তবে জাপা প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ সমান তালে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতীয় পার্টির তৎপরতায় এই আসনের লোকজন অনেকটাই ধারণা ছিল, এবার মহাজোট থেকে মোস্তফা আল মাহমুদই মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফরিদুল হকই নৌকা প্রতীক পেলেন। তবে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোস্তফা আল মাহমুদও নির্বাচন করছেন। এক জোটের দুই প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। বিএনপির প্রার্থীও মাঠে রয়েছেন। ফলে এবার এই আসনে ভোটারদের মূল্যায়নও বেড়েছে। তিন প্রার্থীর ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এই আসনে এবার ত্রিমুখী লড়ায়ের সম্ভাবনাও দেখছেন ভোটাররা।
বিএনপি প্রার্থী সুরতান মাহমুদ বাবু বলেন-এ আসনে দুবার এমপি ছিলাম,সে সময় অনেক উন্নয়ন করেছি। তাই বিএনপির প্রতি ভোটারদের আস্থা রয়েছে। তাই ধানের শীষে এবার নিরব বিপ্লব ঘটবে। জাপা প্রার্থী মোস্তফা বলেন, ইসলামপুরের পশ্চিম অঞ্চলে আমার বাড়ি। পশ্চিম অঞ্চলে পাঁচটি ইউনিয়ন রয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ আমার ওপর আস্থা রয়েছে। আমি একজন তরুণ ও কর্মদক্ষ মানুষ হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’
⇘সংবাদদাতা: জামালপুর প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।