আরিফ উর রহমান টগর, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় নার্গিস (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যায় জড়িত স্বামী ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বোয়ালী গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নার্গিস টাঙ্গাইলের পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের বোয়ালী (মধ্যপাড়া) গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী। এ হত্যাকান্ডে জড়িত গ্রেফতারকৃতার হলেন, নিহতের স্বামী হারুনুর রশিদ (৪৫) ও সহযোগী সোহেল (২৩)।
সুত্রে জানা যায়, হারুন ও তার স্ত্রীর মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই দাম্পত্য কলহ চলছিল। বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হয়েছে। তবে তাতেও কোন সমাধান হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র এসপি কামরান হোসেন জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক ও মিমাংসা করে তাদের সংসার টিকানো হয়েছিল। তবে এ স্বত্তেও তাদের সর্ম্পক ভালো ছিল না।
পারিবারিক এই কলহের জের ধরেই তার সহযোগী সোহেলকে নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটায় স্বামী হারুন।
এ হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা নিয়ে স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ সেবন করান স্বামী হারুন। এ ওষুধ সেবনের ফলে গভীর ঘুমে ছিলেন নার্গিস আক্তার। স্ত্রী গভীর ঘুমের সুযোগে স্বামী হারুন তার স্ত্রী নাজমার পা চেপে ধরে এবং তার সহযোগী সোহেল রানা চাকু দিয়ে জবাই করে এ হত্যাকান্ড চালায়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করাসহ স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এ জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হারুন তার স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করাসহ হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেন। পরে হত্যাকান্ডের মূলহোতা স্বামী হারুন এর তথ্য অনুযায়ী সহযোগী সোহেল কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যে ওই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি বৃহস্পতিবার নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
⇘সংবাদদাতা: আরিফ উর রহমান টগর
সুত্রে জানা যায়, হারুন ও তার স্ত্রীর মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই দাম্পত্য কলহ চলছিল। বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা হয়েছে। তবে তাতেও কোন সমাধান হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র এসপি কামরান হোসেন জানান, প্রায় ১৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক ও মিমাংসা করে তাদের সংসার টিকানো হয়েছিল। তবে এ স্বত্তেও তাদের সর্ম্পক ভালো ছিল না।
পারিবারিক এই কলহের জের ধরেই তার সহযোগী সোহেলকে নিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটায় স্বামী হারুন।
এ হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা নিয়ে স্ত্রী নার্গিস আক্তারকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ সেবন করান স্বামী হারুন। এ ওষুধ সেবনের ফলে গভীর ঘুমে ছিলেন নার্গিস আক্তার। স্ত্রী গভীর ঘুমের সুযোগে স্বামী হারুন তার স্ত্রী নাজমার পা চেপে ধরে এবং তার সহযোগী সোহেল রানা চাকু দিয়ে জবাই করে এ হত্যাকান্ড চালায়। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করাসহ স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এ জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হারুন তার স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করাসহ হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেন। পরে হত্যাকান্ডের মূলহোতা স্বামী হারুন এর তথ্য অনুযায়ী সহযোগী সোহেল কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যে ওই হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি বৃহস্পতিবার নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
⇘সংবাদদাতা: আরিফ উর রহমান টগর
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।