বিএডিসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
৩০-০১-২০১৯বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (ক্ষুদ্রসেচ) অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎচালিত অগভীর নলকুপ স্থাপনের অনুমতি পাচ্ছেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অগভীর নলকুপ স্থাপনের অনুমোদন প্রদানের জন্য ইউএনওকে সভাপতি, বিএডিসি’র উপ-সহকারি প্রকৌশলীকে (ক্ষুদ্রসেচ) সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে অগভীর নলকুপ (সেচযন্ত্র) স্থাপনের জন্য ৭০০ কৃষক উপজেলা সেচ কমিটির কাছে আবদেন করেছে। ৯ জানুয়ারি উপজেলা সেচ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হলেও বিএডিসি’র কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ৭০০ কৃষক সেচযন্ত্র স্থাপনের অনুমোদন পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎচালিত একটি অগভীর নলকুপের আওতায় প্রায় ১২ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব।
আবেদনের প্রথম ধাপে কৃষককে বিএডিসি কর্মকর্তার কাছ থেকে ছাড়পত্র (লাইসেন্স) নিতে হয়। এক্ষেত্রে ৮০০ ফুটের মধ্যে একাধিক ছাড়পত্র দেয়ার বিধান নেই। কিন্তু একই স্থানে একাধিক কৃষককে ছাড়পত্র প্রদান করেছেন বিএডিসি কর্মকর্তা। এ কারণে উপজেলা সেচ কমিটি সেচযন্ত্রের অনুমোদন প্রদান করতে পারছে না।
এ বিষয়ে উপজেলার শ্যামগাতী গ্রামের কৃষক আহসান হাবিব বলেন, বিএডিসি কর্মকর্তার ছাড়পত্র নিয়ে অগভীর নলকুপের বোরিং করে বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু বিএডিসি কর্মকর্তা একই স্থানে নুরুন্নবী নামে আরো এক কৃষককে ছাড়পত্র দিয়েছেন। এ কারণে নলকুপ স্থাপনের অনুমতি মিলছে না। এতে প্রায় ১০ একর জমিতে বোরো ধান চাষ করতে পারছি না।
একই গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বলেন, বিএডিসি কর্মকর্তা আমাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর একই স্থানে সোহেল রানা নামে এক কৃষককেও ছাড়পত্র দিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য ও ধুনট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) বিজয় চন্দ্র কুন্ডু বলেন, বিএডিসি কর্মকর্তা একই স্থানে একাধিক কৃষককে ছাড়পত্র দেওয়ায় অগভীর নুলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব ও বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাসউদুল করিম রানা বলেন, জনবল সংকটের কারণে তদন্ত ছাড়াই দুই-একজন কৃষকের নামে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। তবে এসব ভুল সংশোধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রকৃত কৃষকের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে।
ধুনট উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, বিএডিসি কর্মকর্তার ছাড়পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক ক্রটি রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক কৃষক অভিযোগ করেছে। তাই কৃষকের আবেদন ও বিএডিসি কর্মকর্তার ছাড়পত্র যাচাই-বাছাই করে সেচ যন্ত্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হবে।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।