স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ১১টি উৎস পেয়েছে দুদক, প্রতিরোধে ২৫ সুপার

S M Ashraful Azom
0
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ১১টি উৎস পেয়েছে দুদক, প্রতিরোধে ২৫ সুপার

সেবা ডেস্ক: এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতি বন্ধের বিষয়টি বহুবার উল্লেখ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মেয়াদে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ারপর এক বক্তব্যে জানিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর মনোভাবের কথা। 

একইসাথে সেইসময় দুর্নীতি প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের স্ব স্ব বিভাগের দুর্নীতি রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশের পর আরও সক্রিয় হয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে একটু বেশি সক্রিয় দুদক। 

গত প্রায় দুই সপ্তাহ যাবৎ সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে স্বাধীন এই সংগঠনটি।

স্বাস্থ্য খাতে পরিচালিত দুদকের এমন দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে দুদক প্রায় ১১টি উৎস চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এ সংক্রান্ত ২৫ দফা সুপারিশও করেছে তারা।

স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক বেশি সহায়ক হবে এই প্রতিবেদন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাক্তারদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের কোনো নীতিমালা নেই। এর অবৈধ সুবিধা নিতে সংঘবদ্ধ একটি দল তৈরি হয়েছে। যারা দীর্ঘদিন একই স্থানে দায়িত্ব পালন করছে। এ জন্য নতুন নীতিমালা তৈরির কথা বলা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনে হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় ও ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য তথ্যবহুল সিটিজেন চার্টার এবং ওষুধ ও মেডিকেল যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইজিপিতে টেন্ডার অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। ডায়াগনোস্টিকসেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে স্থায়ী চিকিৎসক-কর্মচারি ও কার্যনির্বাহী কমিটি রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক। ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকতে হবে।

২০০৮ থেকে দুদক প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি দমনের কাজ শুরু করে। ২০১৭ সালে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করা হয়।

এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও রয়েছে। ইতোমধ্যে ভূমি, শিক্ষা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সড়ক বিভাগসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদনগুলো সাদরে গ্রহণ করেছে। সেখানে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম তারা গ্রহণ করবে। দুর্নীতি দমনে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দুর্নীতি অনুসন্ধান এবং বিশ্নেষণে কমিশনের এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হলে স্বাস্থ্য খাতের বিদ্যমান দুর্নীতি অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা যাবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুদকের প্রতিবেদনে কী আছে তা পড়ে দেখব। তবে এটুকু বলতে পারি, আগামী দিনগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top