পলাশবাড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেণির ছাত্রী শিক্ষকের দ্বারা যৌন হয়রানীর শিকার

S M Ashraful Azom
0
সেবা ডেস্ক:
পলাশবাড়ীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেণির ছাত্রী শিক্ষকের দ্বারা যৌন হয়রানীর শিকার


গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বড় গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেণির ছাত্রী সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ওরফে রবি মাষ্টারের দ্বারা যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন । অর্থে বিনিময়ে ধামাচাপার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
সরেজমিনে প্রাপ্ত তথ্যমতে জানা যায়,এ বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেণির ছাত্রীটিকে পরীক্ষায় বেশী নাম্বার দিয়ে পাশ করে দেয়া সহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে বিভিন্ন সময় ও তারিখে যৌন হয়রানী করতো। 

এবং ঘটনা গুলো কাউ কে না বলতে নিষেধ করে ছাত্রীটিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতো এরপরেও অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র মহন্তকে বিষয়টি জানায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। প্রধান শিক্ষক এঘটনাটি ধামাচাপা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে প্রকাশ না করার জন্য বলেন। পরে বাড়ীতে ফিরে ছাত্রীটি তার নানীকে ঘটনা গুলো খুলে বললে।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রাসহ ছাত্রীর নানা নানী বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট প্রতিবাদ জানান ও বিচার দাবী করেন। এসময় প্রধান শিক্ষক আবারো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ছাত্রীর অভিভাবক নানা নানীসহ স্থানীয়দের চুপচাপ করে থাকতে বললে স্থানীয়রা সাথে সাথে প্রতিবাদ জানায় ও অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবী করে বিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেন। 

এঘটনার সময় স্থানীয় বেশকয়েক জন সাংবাদিক নামীয় সাংঘাতিকগণ উপস্থিত থাকলেও কোন প্রকার নিউজ করেনি। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় উপস্থিত সাংবাদিক নামীয় ব্যক্তিদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে কোন প্রকার নিউজ করা হতে বিরত রাখেন অভিযুক্ত রবি মাষ্টারের পরিবারসহ কয়েকজন চিহ্নিত স্থানীয় দালালচক্র। 

এছাড়াও ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতার মাধ্যমে অর্থ আদান প্রদানের আরো কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরর জন্য ছাত্রীটিকে থানায় নিয়ে আসে পরিবার এবং অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র মহন্তের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাহার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল­াহিস শাফির নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান এরকম কোন অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয়রা সহ উপজেলা সকল সচেতন মানুষ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রæত যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট দাবী জানান। 

অভিযুক্ত শিক্ষক পলাশবাড়ী উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পল্লী চিকিৎসক হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষক অন্যস্থলে বরকাতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করাকালে ছাত্রীকে যৌন হয়রানী করার দায়ে সেপ চেটে খাওয়ায় ও নাকে খত দিয়ে বিদ্যালয় হতে তাড়িয়ে দেয় বলে স্থানীয়দের নিকট হতে জানা যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top