মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি ঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বাগুয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে কলেজ ছাত্রী কামরুন্নাহার ইতির লাশ পুন:ময়না তদন্তের জন্য গতকাল বুধবার দুপুরে উত্তোলন করা হয়। আদালতের নির্দেশে ৪ মাস ৩ দিন পর লাশ উত্তোলনের সময় ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দিকা এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মধুপুর থানার ওসি (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মধুপুর থানা পুলিশ জানায়, ধনবাড়ী উপজেলার বাগুয়া গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের মেয়ে কামরুন্নাহার ইতির গত বছর মে মাসে বিয়ে হয় মধুপুর উপজেলার ভট্রবাড়ী গ্রামের মেছের আলীর পুত্র আব্দুল জলিলের সাথে। বিয়ের ৬ মাস পর গত ৩০ নভেম্বর রাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে ইতির লাশ উদ্ধার করা হয়। ইতির বাবা আব্দুল কদ্দুস মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর গাছের সাথে লাশ ঝুলিয়ে ফাঁসির নাটক সাজানোর অভিযোগে গত ৪ ডিসেম্বর মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামী করা হয় ইতির স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দেবরকে। পুলিশ ইতির লাশ ময়না তদন্ত এবং আসামীদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
মধুপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে হত্যা নয়, ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার উল্লেখ করা হয়। এমতাবস্থায় মামলার বাদী টাঙ্গাইল বিচারিক আদালতে দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্তের জন্য আরজি জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ইতির বাবার অভিযোগ আসামীরা জামিনে বেরিয়ে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। প্রভাব খাটিয়ে ময়না তদন্তের রিপোর্টে হত্যাকে আত্মহত্যা সাজিয়েছেন। তারা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য, কামরুন্নাহার ইতি টাঙ্গাইলের গোপালপুর সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স পড়তো।

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।