নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় বোরো ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এ রোগের কারণ বাড়ন্ত ধানের শীষ চিটায় পরিনত হচ্ছে।
শনিবার সরজমিনে উপজেলার তেকানিচুকাইনগর, ভিকনেরপাড়া, মহব্বতের পাড়া, সরলিয়া, খাবুলিয়া, জন্তিয়ার পাড়া, মহেশপাড়া, ছাতিয়ানতলা, শালিখা, মধুপুর, হরিখালী, উত্তর করমজা, পাকুল্লা, শ্যামপুর, হুয়াকুয়া, পদ্মপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, গোসাইবাড়ি, চরপাড়া, ঠাকুরপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ক্ষেত নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে পাতা পুড়ে গেছে।
ফলে জমিতে রোপনকৃত ধানের শীষ চিটায় পরিনত হয়েছে। এছাড়াও ধানের শীষ সাদা হয়ে গেছে।
উপজেলার বেশিরভাগ জায়গায় রোপনকৃত ইরি-বোরো ধান নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ওই উপজেলার কৃষক হতাশ হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে নওদাবগা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, মুকুল মিয়া, সুজন মাহমুদ মাস্টার জানান, তাদের রোপন কৃত ব্রি ধান-২৮ নেক ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ধানের শীষ চিটায় পরিনত হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, এটি ছত্রাক জনিত রোগ। যেসব এলাকার কৃষক ব্রি-ধান ২৮ রোপন করেছে সেসব এলাকায় নেক ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। এই জাতের ধান রোপন করতে কৃষকদের নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও যে সকল কৃষক ব্রি-ধান ২৮ জাতের রোপন করেছে তাদের জমিতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। যে সকল জমিতে পানি জমাট থাকে না (বালি মাটি) সে সকল জমিতে এই রোগ বেশি আক্রমণ করে। এই রোগের ফলে জমির ধান চিটায় পরিনত হয়। এছাড়াও ধানের পাতা শুকে যায়।
এজন্য মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে লিপলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক করে কৃষকদের সচেতন ও পরামর্শ দিচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ জানান। এছাড়াও ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত জমিতে রোগনাশক ঔষধ নাটিভো, দুপার, ক্লিয়া, এমাস্ট্রাটক প্রয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ, সোনাতলা উপজেলায় চলতি বছর ১০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপন করা হয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: নিজস্ব প্রতিবেদক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।