পলাশবাড়ীতে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা পাকাকরণ

S M Ashraful Azom
0
পলাশবাড়ীতে নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা পাকাকরণ
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সদর ইউনিয়নের একটি রাস্তা পাকাকরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। রাস্তাটি পাকাকরণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইটের খোয়া। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) অর্থায়নে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন রাস্তায় ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ লক্ষাধিক টাকা।

জানা গেছে, পলাশবাড়ী সদর ইউনিয়নে এলাকাবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে সাহেব মিয়ার বাড়ি থেকে নজিমুদ্দিনের ব্রীজ পর্যন্ত ১ হাজার ২৯০ মিটার রাস্তা পাকাকরণের টেন্ডার আহবান করা হয়। রাস্তা পাকাকরণ কাজটির টেন্ডার পান মনি এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ রয়েছে ওই ঠিকাদার কাজটি নিজে না করে বেশি টাকায় স্থানীয় ঠিকাদার মিঠু মিয়ার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। নি¤œমানের ইট দিয়ে ঠিকাদার মিঠু মিয়া সড়ক পাকাকরণ কাজটি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী কাজটি বিষয়ে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।

স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, নি¤œমানের ইটের খোয়া দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানালেন, ওই ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। ঠিকাদার এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নি¤œমানের ইটের খোয়া দিয়েই রাস্তাটি নির্মাণ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক বলেন, স্থানীয় লোকজন কাজটি বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার এসে বিভিন্নভাবে তাদেরকে হুমকী ধামকি দিয়ে যায়। যে কারণে এলাকাবাসী ভয়ে আর কিছু বলছেনা। ঠিকাদারের এমন কাজ নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে চাপা ক্ষোভের সুষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, স্থানীয়রা এমন অভিযোগ করতেই পারে। সব অভিযোগ আমলে নেয়া যায়না। এখনকার লোকজন এমনি কাজ ভাল হোক বা মন্দ হোক অভিযোগ করেই থাকেন। তার পরেও আমি ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে দিচ্ছি রাস্তার কাজগুলো দেখার জন্য।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনি এন্টার প্রাইজের প্রোপ্রাইটার মুকুল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখানে কাজটি বিক্রি করার কোনো বিষয় নেই। ঠিকাদার মিঠু মিয়া আমার লাইসেন্স দিয়ে কাজটি পেয়েছেন। ওই লাইসেন্স ব্যবহার করে তিনি কাজটি করছেন। সেখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে ঠিকাদার মিঠু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভালমানের কাজ করতে গেলেও এলাকার লোকজন এমন অভিযোগ করে থাকেন। কাজ করতে গিয়ে একটু উনিশ-বিশ হবে। কোনো ঠিকাদারই শতভাগ কাজ করেনা। আমরা নিবিঘেœ কাজটি করছি কেউ কোনো বাধা প্রদান করেনি।


⇘সংবাদদাতা: গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top