
সেবা ডেস্ক: শুক্রবার সকালে কমলগঞ্জে তিলকপুর সরকারি সার্বজনিন পূজামণ্ডপের নবনির্মিত দ্বিতল ভবনের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সোনালী অধ্যায় চলছে। দুই দেশ কাছাকাছি এসে সামাজিকতা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা বাণিজ্যে আরো উন্নয়ন সম্ভব। বাণিজ্য তরান্বিত করতে উভয় দেশ একযোগে কাজ করছে। প্রয়োজনীয় স্থানে সীমান্ত হাট হচ্ছে। সিলেট ছাড়াও বাংলাদেশের যেকোন স্থানে উন্নয়নে ভারত সহায়তা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিলেট। এখানে বহু ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। তাদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। সিলেটের সঙ্গে ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিকতায় সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশে ভারত সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। তার ফলে ভারতীয় হাই কমিশন কমলগঞ্জে কয়েকটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছে। এছাড়া সিলেটে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্র চালু হয়েছে।
মণিপুরী সমাজকল্যাণ সংস্থার সাবেক সভাপতি সালিয়া সিংহের সভাপতিত্বে উদ্বোধনীতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিলেটে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার ডি কে কৃষ্ণমূর্তি, আনন্দ মোহন সিংহ, ফজলুল হক, কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান।
মনা সিনহার সঞ্চালনায় পবিত্র গীতা পাঠের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বপন কুমার সিংহ।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টায় পূজামণ্ডপে আসলে মণিপুরী নারী ও মেয়েরা প্রধান অতিথিকে পুষ্প বৃষ্টি দিয়ে স্বাগত জানান। এরপর কমিশনের সহায়তায় ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মণ্ডপের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
এরপর সকাল ১১টায় ঘোড়ামারা গ্রামে ৫৬ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে মণিপুরী থিয়েটারের নির্মাণাধীন স্টোডিও নটমন্ডপ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন রিভা গাঙ্গুলী দাস।
সবশেষে মণিপুরী ঐতিহ্যবাহী মৃদঙ্গ বাজন, হলি কীর্তন লীলা, রাধা কৃষ্ণের লীলা রাখাল নৃত্য পরিবেশ করা হয়।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।