
সেবা ডেস্ক: ঢাকার আশুলিয়ায় মো. মনির হোসেন নামক এক ভন্ডপীরকে মা, মেয়ে ও বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে রোববার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার আস্তানা থেকে ওই তিন নারীকে উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নারী বাদী হয়ে ভন্ড পীর ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
সোমবার দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায় তাকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভন্ড পীর মনির হোসেন আশুলিয়ার কুরগাঁওয়ের আ. রহিমের ছেলে। এ ঘটনায় ভন্ড পীরের মকবুল নামে এক সহযোগী পালাতক রয়েছে।
প্রায় ১০ বছর আগে প্রবাসীর স্ত্রী মুরিদ হন একই এলাকার ভন্ড পীর মনির হোসেনের আস্তানায়। ফলে ভন্ড পীরের দরবারে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো তার। এভাবে ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা নিয়ে ভন্ড পীর প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিলো ওই নারীকে। তারপর ভন্ড পীরের নজর পড়ে ওই নারীর ছোট বোনের উপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকে মুরিদ করে নেয় ওই ভন্ড পীর। এরপর তাকেও নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিলো। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, সর্বশেষ বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েও রেহাই পায়নি ওই ভন্ড পীরের কবল থেকে। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে।
আশুলিয়া থানার ওসি মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের বড় বোনকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নানা কৌশলে ভন্ড পীরের মুরিদ করে ধর্ষণ করে আসছিলো। পরে তার ছোট বোনকে একই কৌশলে ধর্ষণ করে। এরপর ভন্ড পীর একই কায়দায় বড় বোনের কিশোরী মেয়েকেও প্রতিনিয়িত ধর্ষণ করে আসছিলো। পরে ভন্ড পীরের আস্তানা থেকে কৌশলে বের হয়ে ছোট বোন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ জানালে অভিযান চালিয়ে ভন্ড পীরকে গ্রেফতার করা হয়।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।