
রফিকুল আলম, ধুনট প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাদক মামলার আসামী মথুরাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল সরকার (৪৫) ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। জুয়েল সরকার উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ধেরুয়াহাটি গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা জুয়েল সরকার এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে পাইকারী ব্যবসায়ী হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করে। এ ঘটনায় জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ অবস্থায় ৫ মে দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধেরুয়াহাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রফিকুল ইসলাম আকু (৪৮) নামে এক খুচরা মাদক বিক্রেতাকে ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী জুয়েল সরকার ও তার দুই সহযোগী লিটন ও বাবলু ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলায় জুয়েল সরকারসহ ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে যুবলীগ নেতা জুয়েল সরকার পলাতক রয়েছে।
উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ সেলিম বলেন, জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পত্র পাঠানো হবে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান বলেন, এর আগেও জুয়েল সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠলে তাকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়ে থাকলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের মামলায় জুয়েল সরকারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: রফিকুল আলম

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।