জাতীয় ফল কাঁঠাল এর আ‌দ্যোপান্ত

S M Ashraful Azom
0
জাতীয় ফল কাঁঠাল এর আ‌দ্যোপান্ত
সেবা ডেস্ক: কাঁঠাল এর বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus (ইংরেজী নাম: Jackfruit) মোরাসিয়াপরিবারের আর্টোকার্পাস গোত্রের ফল। এক প্রকারের সবুজ রঙের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসাবে সরকারীভাবে নির্ধারিত। বাংলাদেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁচা কাঁঠালকে বলা হয় এঁচোড়। কাঁঠাল গাছের কাঠ আসবাবপত্র তৈরীর জন্য সমাদৃত। কাঁঠাল পাতা বিভিন্ন প্রাণীর পছন্দের খাদ্য। তুলনামূলকভাবে বিশালাকার এই ফলের বহির্ভাগ পুরু এবং কান্টকাকীর্ণ, অন্যদিকে অন্তরভাগে একটি কাণ্ড ঘিরে থাকে অসংখ্য রসালো কোয়া। কাঁঠালের বৃহদাকার বীজ কোয়ার অভ্যন্তরভাগে অবস্থিত।বাংলাদেশ ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহ কাঁঠালের উৎপত্তি স্থান হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণ ভারত, বিহার, মায়ানমার, মালয়, শ্রীলঙ্কা প্রভৃতি এলাকা ছাড়া বিশ্বের আর কোথাও এরূপ ব্যাপকসংখ্যায় কাঁঠালের চাষ করতে দেখা যায় না। তবে ব্রাজিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জামাইকা প্রভৃতি দেশে সীমিত আকারে কাঁঠাল জন্মায়। সাধারণত লালচে মাটি ও উঁচু এলাকায় এটি বেশী দেখা যায়।

সামনে মধুমাস। আম-কাঁঠাল পাকার সময়। কাঁঠাল কাঁচা বা পাকা, দুভাবেই খাওয়া যায়। আমাদের জাতীয় এ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন, থায়ামিন, রাইবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। কাঁঠালের স্বাস্থ্যগুণগুলো সম্পর্কে জেনে নিই, চলুন-

১. হজমের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাঁঠাল খুব উপকারি। এ ফলে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা পাকস্থলির আলসার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এ ছাড়া কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাঁঠাল অত্যন্ত কার্যকর।

২. কাঁঠাল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া কাঁঠাল রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৩. কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

৪. কাঁঠাল হাঁপানির সমস্যায় অব্যর্থ ওষুধ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বলা হয়, কাঁঠালের শিকড় পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করা হলে হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, যা থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কাঁঠাল পথ্য হিসেবে খেতে পারেন।

৬. কাঁঠাল রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।

৭. কাঁঠালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলনের বিষাক্ত অংশ (টক্সিক উপাদান) পরিষ্কার করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ জাতীয় উপাদান কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধ করে পাইলসের ঝুঁকি কমায়।

৮. কাঁঠালে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট। যাতে রয়েছে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top