গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর গ্রামের পূর্ব গোপালপুর গ্রামের নুরুনব্বী সরকারের ছেলে সুমন মিয়া (২৫) এর লালসার পড়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে প্রতিবেশী অষ্টম শ্রেনী পড়ুয়া ভাতিজি ।
এ ঘটনায় লম্পট সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় গত ২০ মে শ্লীতাহানীর শিকার মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ ও শ্লীলতাহানী ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায় ,গত ১৯ মে রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় মেয়ের বাবা মা বাড়ীতে না থাকার সুবাদে প্রতিবেশী অভিযুক্ত লম্পট চাচা সুমন মিয়া মেয়েটি ঘরের দরজায় ধাক্কা দিয়ে প্রবেশ করে মুখ চেপে ঝাপটে ধরে ।
এসময় মেয়েটি ধস্তাধস্তি করে ঘরের বাহিরে দৌড়ে আসে । এরপর আবার লম্পট সুমন মিয়া মেয়েটি পিছে পিছে ধাওয়া করে আবারো মুখ চেপে ধরে ঘরের ভিতর প্রবেশকরত এ বিষয়টি কাউকে কিছু না বলতে অনুরোধ করে এবং প্রতিজ্ঞা করে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এরপর মেয়েটি তার দাদীকে জানালে মেয়েটির দাদী মেয়েটি ও লম্পট সুমন মিয়ার বাবা মা কে বিষয়টি অবগত করলে এ নিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে দ্বন্দ কোলহ লেগে যায়। এরপর পারিবারিক ভাবে কোন বিচার না পেয়ে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ দায়ের পর ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও আজ অবদি অভিযুক্ত সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করায় দারে দারে ঘুরছে এবং অভিযুক্ত সুমন প্রভাবশালী হওয়ায় শংঙ্কায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি ।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সুমন মিয়ার বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত সুমন মিয়ার পরিবারের নিকট হতে সুমন মিয়ার ব্যবহিত মোবাইল নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করলে সুমন মিয়া জানায় উক্ত ঘটনার সে জড়িত নয় ।
এ অভিযোগ মিথ্যা অভিযোগ যা শুধু আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করার জন্য। সুমন মিয়া আরো জানায় সে বর্তমানে কর্মীর হাত চক্ষু হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত রয়েছেন।
এবিষয়ে পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান জানান, অভিযোগ সাপেক্ষে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
⇘সংবাদদাতা: গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।