
সেবা ডেস্ক: ইসলাম ধর্মে বয়ঃসন্ধিকালকে বুলুগ ও বয়ঃস্বন্ধিতে পৌছানো ছেলেকে বালেগ ও মেয়েকে বালেগা বলা হয়ে থাকে। বয়ঃসন্ধিকাল থেকে নারী ও পুরুষের যৌন বৈশিষ্টসমূহ সক্রিয় হতে শুরু করে। তাই এই সময় থেকেই ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য মনোদৈহিক ভারসাম্য, স্থিরতা ও নিরাপত্তার জন্য নামাজ, রোজা, নিজ নিজ আওরাহ ও পবিত্রতার বিধান ফরজ বা বাধ্যতামূলক করা হয়।
একেবারে সুনির্দিষ্ট কোন দিন উল্লেখ করে বোঝার উপায় নেই ছেলে মেয়েরা কবে প্রাপ্তবয়স্ক হলো। তবে এর কিছু আলামত রয়েছে। সেটি হলো, ছেলেদের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যায়, তার বয়স যখন তেরো-চৌদ্দ হয় অথবা যখন তাদের স্বপ্নদোষ হয়, বীর্যপাত হওয়া, দাড়ি বা গোফ উঠা। এগুলো হলে একটি ছেলে বুঝবে যে সে বালেগ হয়েছে।
অতএব, এভাবে বোঝার উপায় নেই যে সে উমুক দিন বালেগ হয়েছে।
মেয়েদের ক্ষেত্রে মায়েরা বোঝে। মেয়েদের বালেগ হওয়ার আলামত হলো,: স্বপ্নদোষ হওয়া, হায়েজ (ঋতুস্রাব) আসা, গর্ভধারণ করা, স্তন বড় হওয়া ইত্যাদি। যেদিন হায়েজ শুরু হয়, সেদিন মেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়; কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে এ রকমভাবে বোঝার কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে হাদিস শরিফে এসেছে : নাফে (রহ.) হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে (সবার সামনে) পেশ করেন, তখন আমি ১৪ বছরের বালক। (ইবনে ওমর বলেন) তিনি মহানবী (সা.)আমাকে (যুদ্ধে গমনের) অনুমতি দেননি। পরে খন্দকের যুদ্ধে তিনি আমাকে পেশ করেন ও অনুমতি দেন। তখন আমি ১৫ বছরের যুবক।
নাফে (রহ.) বলেন, আমি খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজের কাছে গিয়ে এ হাদিস শুনালাম।
তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। তারপর তিনি তার গভর্নরদের লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে (সেনাবাহিনীতে) যাদের বয়স ১৫ হয়েছে, তাদের জন্য যেন ভাতা নির্দিষ্ট করা হয়। (বুখারি, হাদিস নম্বর ২৬৬৪, ৪০৯৭; মুসলিম, হাদিস নম্বর ১৮৬৮)
ইসলামে স্বপ্নদোষ অতি সাধারণ ও স্বাভাবিক ঘটনা বলে প্রতীয়মান হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্নদোষ কোনো গুনাহ বা পাপ নয়। এছাড়া স্বপ্নদোষের ফলে সাওম ভঙ্গ হয় না। স্বপ্নদোষ হলে গোসল করে পবিত্রতা অর্জনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হায়েজ ও নেফাসকে ইসলামে সরাসরি নারী জাতির জন্য একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময়ে নারীদের নামাজ ও রোজার মত বাধ্যতামূলক প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। ঋতুস্রাব বা হায়েজ এর সর্বনিন্ম সময় তিন দিন এবং সর্বোচ্চ সময় ১০ দিন এবং প্রতি চক্রের মাঝখানে কমপক্ষে ১৫ দিন বিরতি থাকে।
ঋতুস্রাব বা হায়েজ এর সময়ের নামাজ মাফ করে দেয়া হয়েছে কিন্তু রোজা পরে ক্বাজা করতে হয়। পাশাপাশি গোসলের মাধ্যমে নিয়মিত পবিত্র হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।