
সেবা ডেস্ক: সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে ওয়াসার দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেন দুদক কমিশনার।
প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর এরসারসংক্ষেপ সাংবাদিকদের দুদক কমিশনার জানান, ওয়াসার ১১টি পয়েন্টে দুর্নীতি হয় বা হতে পারে।
দুদক কমিশনারের অভিযোগ, ‘ঢাকা মহানগর পানি সংগ্রহ প্রকল্পে ৫৫২ কোটি টাকা বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে। এছাড়া মিরপুরে ৫২১ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজস করে এই দুর্নীতি করা হয়েছে।
সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া সম্ভব নয় বলে তথ্য দেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, তদন্তের পর আমরা দেখেছি, এসব প্রকল্পের কাজ ওয়াসার কর্মকর্তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওভারটাইম না করেই বিল নেয় বলেও অভিযোগ আনেন তিনি।
ওয়াসার বার্ষিক প্রতিবেদন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধানে ওয়াসার এসব দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে বলে জানান কমিশনার মোজাম্মেল হক।
জানা গেছে, এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ করেছে দুদক।
দুদকের এমন সব অভিযোগ ও প্রতিবেদনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ দুদকের এই প্রতিবেদন আমরা আমলে নিয়েছি। সরকারের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে বিচার করা হবে। এই সরকার কোনো দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না।’
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।