জামালপুর হাসপাতাল, দালালদের চাপে ওষুধ কিনতে হয় বাইরে

S M Ashraful Azom
0
জামালপুর হাসপাতাল, দালালদের চাপে ওষুধ কিনতে হয় বাইরে
সেবা ডেস্ক: জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে হলে সব ওষুধ সরবরাহ থাকলেও দালালদের চাপে প্রকার ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। এখানে দালালরা নির্ধারিত ঔষধের দোকানে নিয়ে যান রোগীর লোকদের। ফার্মেসি থেকে দালালরা নিয়মিত কমিশন পেয়ে থাকেন রোগীর উপর ভিত্তি করে। তাছাড়া রাতে যদি কোন রোগী মরণ যন্ত্রনায় ছটফট করে নার্স-ডাক্তার কেউ কাছে যায় না। বলছিলেন জামালপুরের দেওয়ান পাড়ার সেলিম।

সেলিম আরো বলেন, দালালদের দৌরাত্ম্যে হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের জীবন অতিষ্ঠ। টাকা হলে এখানে ডেথ সার্টিফিকেট, মামলার জন্য ৩২৬ ধারা বহাল রাখতে সার্টিফিকেটসহ সবই মিলে সবই মিলে এই দালার চক্রের মাধ্যমে। 

২৫০ শয্যার জামালপুর হাসপাতালে শিশু বিভাগে ডাক্তার আছেন মাত্র তিনজন। বহির্বিভাগেরও দায়িত্বে আছেন তারাই। এই বিভাগে আছেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. তাজুল ইসলাম।

এই বিভাগের আরেকজন ডাক্তার ফেরদৌস হাসান। তিনিই বহির্বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার। তার কক্ষের সামনে সবসময় শিশু রোগীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন আত্মীয়-স্বজন। তাও আগে থেকে সিরিয়াল ধরতে হয়। সকাল আটটা থেকেই তার কক্ষের সামনে থাকে লম্বা লাইন। তার দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ মেডিকেল অফিসার সংকট চলছে।

প্যাথলজি বিভাগে রক্ত পরীক্ষায় টিসি, ডিসি, ইএসআর, হিমোগ্লোবিন, টিসি, ডিসি, ইএসআর, হিমোগ্লোবিন এইচবি ইএসআরএমপি, বিটি সিটি নাম মাত্র। রক্তের গ্রুপিং, রক্তের স্ক্রিনিং, রক্তের ক্রস মেসিং, ব্লাড সুগার পরীক্ষা, ব্লাড ইউরিয়া, সিরাম বিলিরুবিন, সিরাম কলস্টেরল, এসজিপিটি, এসজিওটি, প্রেগনেন্সি পরীক্ষা নির্ধারিত আছে। কিন্তু পরীক্ষা করতে এসে হয়রানির শিকার হন রোগীরা।

হাসপাতালটির বহির্বিভাগের গাইনি বিভাগের গাইনি কনসালট্যান্ট ডা. ফাখরিয়া আলম বেশিরভাগ সময় অপারেশন থিয়েটারে কাজ করেন। হাসপাতালের আন্তর্বিভাগের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্টাফ নার্স, নার্সিং কলেজের প্রশিক্ষণার্থী এবং ইন্টার্ন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টরা রোগীদের সেবা দেন মর্জি মাফিক।

হাসপাতালে সার্জারি, গাইনি, নাক-কান-গলা, মেডিসিন, অর্থপেডিক, শিশু, চর্ম ও যৌন, দন্ত ও চক্ষু বিভাগ বিভাগ চালু আছে। তবে হৃদরোগ বিষয়ে কোনো রোগী এলে কোনো প্রকার চিকিৎসা ছাড়াই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এতে অনেক রোগী রাস্তায় মারা যায়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শফিকুজ্জামানের দাবি, ডাক্তারসহ অন্যান্য জনবল সংকটের কারণে এত বড় হাসপাতালটিতে চিকিৎসাসেবা দিতে সমস্যা হচ্ছেই। জনবল বিশেষ করে ডাক্তার নিয়োগ করা না হলে কোনো অবস্থাতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে এ হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত। নতুন বিছানা, চিকিৎসা সরঞ্জামসহ প্রয়োজনীয় নতুন আসবাবপত্র দেয়া হয়েছে। স্যালাইন থেকে শুরু করে যাবতীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা হাসপাতাল থেকে দেয়া হয়।

সিভিল সার্জন ডা. গৌতম রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। জেলা সদরসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে পর্যবেক্ষণ বাড়ানো হয়েছে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top