দুর্যোগ মূহুর্তেও জামালপুরের ৮ সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার নেই

S M Ashraful Azom
0
দুর্যোগ মূহুর্তেও জামালপুরের ৮ সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার নেই
ডাক্তারের অপেক্ষায় রোগিরা

মোহাম্মদ আলী : জেলার প্রতিটি উপজেলার নিন্মাঞ্চল বন্যাকবলিত। পানিতে সয়লাব পুরো লোকালয়। বন্যাকবলিত অনেক পরিবারের পানিতেই কাটছে দিবারাত্রি। খাওয়া শুয়া থেকে শুরু করে সকল দৈনন্দিন কাজ সারতে হচ্ছে পানিতেই। দীর্ঘ সময় বানের পানিতে অবস্থান করায় দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত রোগ।

এছাড়া সমতলের সাধারণ রোগীরা তো আছেই। দুর্যোগ মূর্হুতে এসব রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারি হাসপাতালগুলোতে কর্মরত ডাক্তারদের। কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না রোগী সাধারণ।

এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জামালপুরের সরকারি হাসপাতালগুলোতে জনবল সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ডাক্তার সঙ্কটের কারণে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না দুর দুরান্ত থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী সাধারণ। প্রাপ্ত তথ্য মতে, জেলার ৮টি সরকারি হাসপাতালে মোট ডাক্তার নিয়োগ রয়েছেন ২শ ৬৯জন। এর মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১শ ৬জন। ৮৫টি রয়েছে পদশূন্য। বাকীরা কেউ সেচ্ছায়, কেউ প্রশিক্ষণ ও নানা কারণে অনুপোস্থিত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্রমতে, জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়োগ রয়েছে ৯২জন ডাক্তার। তাদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ৫০জন। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০জন ডাক্তারের জায়গায় আছেন ১৮জন।

মেলান্দহ হাসপাতালে ডাক্তার থাকার কথা রয়েছে ৩১জন আছেন ১৭ জন। ইসলামপুর হাসপাতালে ৩৩জনের জায়গায় ডাক্তার রয়েছেন ১২জন। ডাক্তার সঙ্কট রয়েছে দেওয়ানগঞ্জ ও বকশিগঞ্জ হাসপাতালেও। দেওয়ানগঞ্জে ১৯ জনের স্থলে আছেন ৮ জন। বকশিগঞ্জে ১৯ জনের জায়গায় কাজ করছেন ১০জন। মাদারগঞ্জ হাসপাতালে যেখানে ২৮জন ডাক্তার কাজ করার কথা সেখানে কাজ করছেন মাত্র ১০জন ডাক্তার। সরিষাবাড়ি হাসপাতালে আছেন ১৪জন ডাক্তার। থাকার কথা রয়েছে ২৯জন ডাক্তার।

এ বিশাল শূন্যপদ ও অনুপোস্থিতির কারণে দুর দুরান্ত থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী সাধারণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। বিশেষ মূহুর্তেও চাপ সামাল দিতে হিমশিক খেতে হচ্ছে কর্মরতদের। জরুরী রোগীদের বেলায় বাড়ছে রেফার প্রবণতা।

এ ব্যাপারে জামালপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সহকারী পরিচাল ডাঃ প্রফুল্ল কুমার সাহা বলেন, ১০ বছর আগে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। অথচ আজও তার কাঠামো ও জনবল পূরণ হয়নি। সে কারণে সদিচ্ছা থাকা সত্বেও এই হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী সাধারণকে তাদের কাঙ্খিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।

জামালপুর সিভিল সার্জন ডাঃ গৌতম রায় বলেন, শূন্যপদের ডাক্তারগুলো পূরণ হয়ে গেলে সেবা প্রত্যাশিদের দুরভোগ অনেকাংশেই কমবে। যারা কোনো প্রশিক্ষণ বা সরকারি কাজে নেই কর্মস্থলেও নেই ওই সকল ডাক্তারদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে, বলেও জানিয়েছেন তিনি।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top