শামীম তালুকদার: আজ ৬ আগস্ট।১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা নামক শহরে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম পারমাণবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ৭৪ টি বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘটনা পরিক্রমায় যুক্তরাষ্টের যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং জামানি,জামান পক্ষের জয় পাল্লা ভারি দেখার এক পযায়ে জাপান কতৃক যুক্তরাষ্টের পার্ল হারবার আক্রমন দৃশ্য মনে রাখার ধারাবাহিকতায় (যেখানে ২৩০০ আমেরিকান সেনা সদস্য নিহত হন কিছু বেসামরিক লোকও) যুক্তরাষ্ট!যুদ্ধে জয় অনিবায করার প্রয়াসে বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম পারমানবিক বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র,এ ধ্বংসের ব্যপকতায়,বিশালতায় জামান,জাপান জোট আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। জয়ী হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তি।এ জয় পরাজয় দিয়ে বিশ্বের মেরুকরণ একচিটিয়ে অব্যাহত রাখে অক্ষশক্তির যুক্তরাষ্ট্র। বদলে যায় জাপান যারাও একসময় সামরাজ্রবাদী রাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী ছিল,রাষ্ট্রনীতিতে আনে পরিবতন,করা হয় পুজিবাদী আজও যা চলমান সেই জাপানের নীতি ৭৪ টি বছর পরও,যারা হতে চেয়ছিল বিশ্বের মোড়ল তারা আজ বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালি রাষ্ট্র,আরো অন্তত কয়েক দশক এ নীতিতে থাকবে বলে প্রতীয়মান। প্রসঙ্গক্রমে জাপান যাওয়ার সুযোগের প্রেক্ষিতে জাপানী কলিগ,বন্ধুদের প্রশ্ন করেছিলাম যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে মতামত কী তাদের? উত্তরগুলি জাপানি স্টাইল (অসম্ভব ভদ্র,অমানুষিক পরিশ্রমি), ভালো দেশ উন্নত দেশ, উদাহরণ সৃষ্টিকারী দেশ, মোদ্দাকথা তারা অনেক এগিয়ে অনেক,এটাই জাপান এর সাথে অন্যান্য রাষ্টের পার্থক্য পরাজিত হলেই বিজয়ী দেশ ভাল না এটা ঠিক নয় তারা কেন জয়ী হলো আমরা কেন পরাজিত হলাম!এসব যোগে দীঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া সেটা ১০০ বছরের/আরো বেশি হতে পারে,৪০ দশক হতে ২০১৫ সাল পযন্ত বৈশ্বিক পলিটিক্যাল এরিনাতে জাপানের ভূমিকা দৃশ্যমান নয়,কেন?জানেন?পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ফুলফিল না হওয়ার জন্য, যদিও নিকটে কিছু কাজ সবার নজরে আসছে।যা হোক এলামেলো হয়ে গেল মূল কথাটা বলি ২য় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সালে জামানির পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে এর পর ধাপে ধাপে সকল শক্তিশালি রাষ্ট্রই সেখানে যুক্ত হয় দৃুটি পক্ষে ১। মিত্রশক্তি: সোভিয়েত,যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাষ্ট্র,ফ্রান্স, পোল্যান্ড ২। অক্ষশক্তি:জামানি,জাপান ইতালি, এরপর সারাবিশ্বের সবমোট ১০ কোটি সৈন্যের যুদ্ধে পরিণত হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধ, জাপান,জামানি বারংবার যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করে ১৯৪১ সালে পার্লহারবার আক্রমণ করে জাপান, এর চার বছর পর পারমানবিক বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। চার বছর!চার বছর অনেক রণকৌশল করেই করে। জাপান জানে যুক্তরাষ্টের পারমানবিক বোমা আছে তারপরও তারাই উগ্রতা দেখিয়ে হামলা করেই যাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রে, যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা হুমকি উপেক্ষা করে। জাপানের এই উগ্রতা,একরোখা মনোভাব বতমান বিশ্বের অনেক রাষ্টের মধ্যে জোড়ালোভাবে দেখা যায়, তারা হয়ত এটাও জানে তারদেশ যুদ্ধের একটি সাধারণ বন্দুকও কিনতে হয় অন্য রাষ্ট থেকে,পারমানবিক বোমা/একটি ট্যাংক নিজেরা কবে তৈরি করবে/করতে পারবে সেটা ১০০বছর/ আরো পরও হতে পারে সেই প্লান নাই বা আছে,তবে ততটুকু নিয়েই দেশের সাবভৌমত্ব রক্ষায় চিন্তা করতে হবে,সচেষ্ট থাকতে হবে,সাথে আরো একটু যুক্ত করবেন,একটি পরিসংখ্যান রয়েছে যেখানে বর্তমান সামরিক শক্তির যেখানে পজিশন ১ ইউএসএর/আমেরিকার। ইউএসএর যে এবিলিটি আছে সিরিয়ালের পরবতী ১৩টি দেশের সমান তাহলে ইউএসএর ক্ষমতা প্রদর্শন হওয়া উচিৎ কত লেভেলের??অবাক করা ব্যপার যারা এই ১৪ টির সিরিয়াল মধ্যে নেই তারাই উগ্রতায় প্রথমে,এবং সেটা দেখে পৃথিবীর অনেক দেশ কি ভাবে। ভাবা যায়?ভাবতে পারেন?
বি/দ্র: সকাল ৮টা ১৫ মিনিট মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্র–ম্যান নির্দেশে মার্কিন বি-টুয়েন্টি নাইন বোমাবাহী বিমান হইতে হিরোশিমায় ফেলানো হয় পারমাণবিক বোমা ‘লিটল বয়’। প্রায় সাথে সাথে মাটির সঙ্গে মিশে একটি শহর শিরোশিমা।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।