উড়ন্ত গাড়িতে ভ্রমন করে ইতিহাসে জাপান

S M Ashraful Azom
0
Japan in the history of flying by car
সেবা ডেস্ক: উড়ন্ত গাড়ির সফল উড্ডয়ন করিয়ে সারাবিশ্বকে তাক লাগানোর উদ্দেশ্য ছিল জাপান সরকারের। তাও আবার ২০৩০ সালের মধ্যে। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক না কেন, জাপান চলতি বছরের ৬ আগস্ট সবার সামনে প্রদর্শন করে উড্ডয়ন সক্ষমতা সম্পন্ন উড়ন্ত গাড়ি।
‘ভবিষ্যতে ফিরে যাও’ এই কথাটিই তবে সত্য হতে যাচ্ছে এবার। যার মানে হচ্ছে, আমরা ভবিষ্যতকে যতোটা কাছে ভাবি, ভবিষ্যৎ তার থেকেও অনেক কাছে হতে পারে। এতোটা কাছে,যা হয়তো বর্তমানে এখন অনেকের তথা অনেক দেশের ভাবনাতেও নেই। খুব পেছনের কাহিনী না হলেও সম্প্রতি জাপান সফল পরীক্ষা চালিয়েছে এই উড্ডয়ন ক্ষমতাসম্পন্ন উড়ন্ত গাড়ি তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার জাদুর বাক্সের। যা হয়তো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বাজারে আসলে শুরু হয়ে যেতে পারে আরেক বিপ্লব।

চাকা, চাকা থেকে গাড়ি, এরপর আরো কত কী এসে গেলো। জাহাজ, স্টিমার, প্লেন,অ্যারোপ্লেন। এবার তবে উড়ন্ত গাড়ি। উল্লেখ্য, পরীক্ষামূলক গাড়িটি চার চারটি প্রোপেলারের সাহায্যে মিনিটখানেক স্থিরনিবদ্ধ হয়ে শূন্যে বিচরণ করে। আর তারপর খানিকটা সামনে এগিয়ে যায়। অতঃপর নামিয়ে আনা হয় বিশেষ এই উড্ডয়নরত গাড়িটি।

তিন চাকা আর চার প্রোপেলার সমন্বয়ে তৈরী এই উড়ন্ত গাড়ির প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইলেকট্রনিক ফার্ম এনইসি। ভবিষ্যৎ বিপ্লবের সূচনা করতে যাওয়া এই গাড়িটি টোকিও থেকে ২২  মাইল দূরে্র আবিকো শহরের একটি বিশেষ মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে সফল উড্ডয়ন করে। তবে এখনো নাকি নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বেশ কাঠ খড় পোড়াতে হচ্ছে তাদের। প্রথম প্রদর্শনীর সময় প্রত্যেককেই বলা হয়েছিল শব্দ নিরোধক হেলমেট পরিধানের জন্য। তার মানে, একই সাথে শব্দ দূষণের ভয়াবহতাও ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রোপেলারগুলো।

মাই রিসোর্ট, জাপান, যেখানে হরহামেশাই এসে ভিড় করে হলিউডের নামজাদা সব তারকারা। সেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সদৃশ মাই রিসোর্ট এর সঙ্গে জাপানের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে এই উড়ন্ত গাড়ির কথা ভাবা হচ্ছিলো। অথচ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাপানের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে দুবাই। তবে সে যাই হোক না কেন, এই উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা রয়েছে। এখনো এর ব্যাটারীর চার্জ, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, নিরাপত্তার বিষয় সহ আরো নানাবিধ বিষয়ে সুনিপুণ আর নিদারুণ উন্নয়ন আনতে হবে।

তবেই হয়তো এই গাড়ি সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যেতে পারে। উড়ন্ত গাড়ি, প্রকৃত পক্ষে, ইভিটল নামেই পরিচিত  আর মূলত বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে উল্লম্ব উড্ডয়ন এবং অবতরণ বিমান-  হিসাবেই সংজ্ঞায়িত করা হয়। কারণ গাড়ি বৈদ্যুতিক বা হাইব্রিড বৈদ্যুতিক, কিংবা সম্পূর্ণ চালকবিহীন চলার এবং উল্লম্বভাবে অবতরণ করার ক্ষমতাসম্পন্ন।

গবেষণারত কর্মকর্তাদের দাবি, এই উড়ন্ত গাড়ির পেছনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চালকবিহীন গাড়িটি বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারির জন্য ব্যবহার। তবে তারা এমনও দাবি করেন, এমন গাড়ি দুর্যোগপূর্ণ সময়ে তুরূপের তাস হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ওদিকে রাইড-ড্রাইভিং অ্যাপ উবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উবার এয়ার নামে একই ঘরানার প্রযুক্তির নিজস্ব সংস্করণ চালু করেছে। যা কিনা ২০২০ সাল থেকে  বিক্ষোভকারীদের দমনে ব্যবহার করা হতে পারে। তারা একই সঙ্গে ২০২২ সাল নাগাদ এই উড়ন্ত গাড়ি প্রযুক্তি সম্বন্ধীয় প্রকল্পের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। 

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top