
সেবা ডেস্ক: ভারতের দখলে থাকা জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। শুক্রবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানায়, কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তানের পাশে থাকবে চীন। এটি নিয়ে পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাতেও চীন নিজের সমর্থনের কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের বৈধ অধিকার ও স্বার্থের প্রতি চীন তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে। সম্প্রতি কাশ্মীরে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলেও এতে জানানো হয়।
চীন জানায়, তারা মনে করে, কাশ্মীর বিষয়ে একপাক্ষিক পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়। ভারত ও পাকিস্তানকে ঐতিহাসিক বিদ্বেষ কাটিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান জানায় তারা।
কাশ্মীরের বিষয়টি জাতিসংঘ সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের বিধি ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে সুরাহা হওয়া উচিত বলে অভিমত তাদের।
বৈঠকের পর এক ভিডিও বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আড়াই ঘণ্টার ওই বৈঠককে দরকারি ও সময়োপযোগী বলে অভিহিত করেছেন । দেশটি কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে পুরোপুরি সমর্থন জানায়।
কারফিউ পরিস্থিতির পর কাশ্মীরে নতুন পর্যায়ে নিপীড়ন ও বর্বরতা চাপিয়ে দেওয়া হবে। এটি শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয় বরং আরও রক্তপাতের দিকে ধাবিত হবে বলে পাকিস্তানের আশঙ্কা। চীনকে এ উদ্বেগের কথা অবহিত করা হয় বলে জানান কোরেশি।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার মোড় অন্য দিকে ঘোরাতে (ভারত) পুলওয়ামার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, চীনকে সে আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের মন্ত্রণালয় পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষা করবে যাতে করে যৌথ পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।