
রফিকুল আলম,ধুনট : পিচ-খোয়া উঠে স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকেবেঁকে। ধীরগতিতে যান চলায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এসব গর্তে পড়ে দূর্ঘটনাও ঘটছে। এক বছর ধরে এ অবস্থা চলছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর-চান্দাইকোনা আঞ্চলিক সড়কে।
গতকাল রোববার দুপুরের দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের মথুরাপুর এলাকায় তালতলা থেকে নাকুয়া সেতু পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার অংশ ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। এই অংশে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের শত শত যানবাহন চলছে থেমে থেমে। বৃষ্টিতে খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলের সময় পানি ছিটকে উঠছে। এতে বেশ কয়েকজন পথচারীর কাপড় নোংরা হতে দেখা গেছে।
উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আহম্মেদ জেমস মল্লিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপ‚র্ণ সড়কের এই অংশটি বেহাল থাকলেও তা সংস্কারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কোনো উদ্যোগই নিচ্ছেন না। অথচ এ সড়কটি দিয়ে দৈনিক কয়েক লাখ মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে। এই পথেই এলাকার সিংহ ভাগ মানুষ মথুরাপুর, ধানঘরা ও চান্দাইকোনা বন্দরে ব্যবসা-বানিজ্যর জন্য যোগাযোগ করে। কিন্ত বেহাল সড়কে পরিবহন বিপর্যয়ের কারনে তাদের ব্যবসায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদের ভোগান্তি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
সড়কের আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই এলাকায় যে কয়েকটি গুরুত্বপ‚র্ণ সড়ক রয়েছে, এর মধ্যে এ সড়কটি অন্যতম। এ সড়ক দিয়ে কমপক্ষে ১০শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কয়েকটি ব্যাংকে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া এলাকায় কয়েকটি বড় হাটও রয়েছে। সবাইকে এই পথ দিয়েই যন্ত্রনা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় পিরহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পাশ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই একটি প্রাইভেট কার এসে আমার পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় খানাখন্দে জমে থাকা ময়লা পানি ছিটকে আমার কাপড়চোপড় নোংরা হয়ে গেছে। যদি সড়কটি ভাঙাচোরা না থাকত, তাহলে পথচারীদের এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে হতো না।
অটোভ্যান চালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভাঙাচোরা সড়কে যাত্রী পরিবহনকালে ভ্যানের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়। প্রতিদিনের আয় দিয়ে ভ্যানগাড়ি মেরামতের খরচই জোটে না। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। এতে সংসারে অভাব দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন তৈরী করে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে সংস্কার কাজ করা হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।