বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জের সোনালী আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তাকে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ি এলাকায় কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী জাহিদ হাসানকে আটক করেছেন বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ।
জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বালুরচর গ্রামের আবদুল করিমের মেয়ে সোনালী আক্তারের বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামের আঃ রশিদের ছেলে জাহিদা হাসানের সঙ্গে। ২০১৮ সালের ২৩ আগস্ট জাহিদ হাসান ও সোনালীর বিয়ে হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই লাশ হতে হলো সোনালীকে। তাও আবার স্বামীর হাতে তাকে খুন হতে হয়েছে।
সোনালী আক্তার স্বামীর সাথে গাজীপুর জেলার কোনবাড়ি থানাধীন আমবাগ পাড়ায় স্থানীয় রবিউল ইসলামের বাসায় ভাড়া থাকত। জাহিদ হাসান সেখানে ঝুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হতো না।
একারণে মাঝে মধ্যেই স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে সোনালীকে। গত ৭ আগস্ট বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে জাহিদ হাসান তার গর্ভবতী স্ত্রী সোনালীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালালে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মুমূর্ষূ অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি কোনাবাড়ি থানাকে না জানিয়ে রাতেই সোনালীর মরদেহ বকশীগঞ্জের বাবার বাড়ি নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সোনালীর মরদেহ উদ্ধার করে জামালপুর মর্গে পাঠায় থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী জাহিদ হাসানকে আটক করা হয়।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মাহাবুব আলম জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে নির্যাতনের ফলে সোনালী মারা গেছে। এ ঘটনায় গাজীপুর কোনা বাড়ি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।