![]() |
| ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরে আমদানি করা পাথর ট্রাক থেকে আনলোড করছে শ্রমিকরা। ছবি- হাসানুর রহমান হাসান |
সেবা ডেস্ক: গত ২০১৬ সালে বন্ধ হওয়া জামালপুরের একমাত্র কামালপুর ল্যান্ড কাস্টম (এলসি) বর্তমানে পুর্নাঙ্গ স্থল বন্দরের কার্যক্রম নিয়ে পাথর আমদানী শুরু হয়েছে। এ মাসের ২২ তারিখে এই স্থল বন্দর দিয়ে পাথর বোঝাই একটি ট্রাক ভারত-বাংলাদেশে সীমান্ত অতিক্রম করার সাথে সাথে আনন্দের হাসি দেখা যায় হাজার হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিকদের চোখে মুখে।
এই বন্দরে পুরুষের চেয়ে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। এরা বেশিরভাগ পাথর ভাঙ্গার কাজসহ পাথর আনা নেওয়া কাজ করেন থাকেন।
রাবেয়া খাতুন নামের এক শ্রমিক জানান, বন্দর চালু হওয়ায় আমরা কিছু করে খেতে পারব।
কামালপুর স্থল বন্দরের আমদানী ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেস রিপন জানান, এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১৬০টি করে ট্রাক পাথর নিয়ে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে ভারতীয় সরকার। আমরা স্থানীয়ভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের সাথে মিলেমিশে নির্ধারিত নিয়মে পাথর আমদানী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ২৭ তারিখে কামালপুর স্থল বন্দরের ১১ সদস্যের ব্যাবসায়ী প্রতিনিধি দল ভারতে গিয়ে পাথরসহ অন্যান্য পণ্যের মুল্য নিধারন করা হবে বলেও জানান তিনি।
মুলত পাথর নির্ভর এই স্থল বন্দরে চালু হয় ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকেই। কিন্তু ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে এই স্থল বন্দরটি পুরাপরি বন্ধ করে ভারত সরকার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই কামালপুর স্থল বন্দরটি শুধু মাত্র এলসি স্টেশনটি হিসাবে চালু হলেও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা বন্ধ থেকে যায়। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আমপতি মহকুমায় মহেন্দ্রগঞ্জ সীমান্ত অবস্থিত।
আমদানী রপ্তানি সহজতর করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে কামালপুর ল্যান্ড কাস্টমসকে পুর্নাঙ্গ স্থল বন্দরের রূপান্তর করা হয়। রাজধানী ঢাকা থেকে কামালপুর স্থল বন্দরের দুরুত্ব ২১৮ কিলোমিটার আর উপজেলা সদর থেকে দুরুত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। কামালপুর স্থল বন্দর থেকে ঢাকায় যাওয়া একাধিক রাস্তা বিদ্যমান হওয়ায় যাতায়াত খুবই সহজ।
আমদানীর পন্যের মধ্যে গবাদি পশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমুল, গাছ-গাছড়া, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পিয়াজ, মরিচ, রশুন, আদা, বলক্লে, কোয়ার্টাজসহ সকল পন্য। আর রপ্তানির পন্যের মধ্যে রয়েছে সরকার ঘোষিত সকল রপ্তানিযোগ্য পন্য।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প ইত্যিমধ্যেই অনুমোদন হয়েছে। এ প্রকল্পের আওয়তায় ১৫.৮০ একর জমি অধিগ্রহন করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থল বন্দরে জমি অধিগ্রহনপূর্বক অন্যান্য অবকাঠামো স্থাপনের কার্যক্রম চালু রয়েছে।
সাপ্তাহিক বকশীগঞ্জ-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।