
সেবা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের সামনে অবস্থিত ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নব নির্মিত একটি পাওয়ার স্টেশনে গতকাল মঙ্গলবার কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক প্রকৌশলী তৌফিক হেদায়েত (৩৬)মারা গেছেন।
মঙ্গলবার(১৭সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটে।সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন,ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মো.হানিফ নামে নিহত ঐ প্রকৌশলীর এক সহকর্মী দাবি করেছেন,কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তৌফিক। তিনি হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন,সকালে কেন্দ্রের ভেতরে কাজ করার সময় সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।তবে ডিপিডিসির কর্মকর্তারা বলছেন ভিন্ন কথা।
ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল)রমিজ উদ্দিন সরকার বলেন,গ্যাস রিফিলিংয়ের সময় হঠাৎ করে তিনি পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন,স্পার্কিং কিংবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার কোনো আলামত দেখা যায়নি। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটা চিকিৎসক ভালো বলতে পারবেন।
ইন্দোনেশীয় প্রকৌশলী তৌফিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি হিতাচির হয়ে বাংলাদেশে কাজ করতেন বলে জানান ডিপিডিসির পরিচালক রমিজ উদ্দিন। হানিফ বলেন,দীর্ঘদিন ধরে ডিপিডিসিতে কাজ করে আসছিলেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক তৌফিক।তিনি নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় কোম্পানীর একটি বাসা নিয়ে থাকতেন।
এদিকে,ঐ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুজ্জামান রাসেল বলেন, শহিদুল্লাহ হলের সামনে মাঠে নবনির্মিত (ডিপিডিসি)একটি পাওয়ার স্টেশনে সকালে কাজ করছিল তিনি (মেশিনে গ্যাস ভরাচ্ছিলেন)সেখানে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অচেতন হয়ে পরেন। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিক্ষা নিরীক্ষা শেষে সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটের সময় মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে থাকা প্রকৌশলী তৌফিক ৪০ মিনিট অচেতন অবস্থায় পড়েছিল। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে জানা যায়। অন্যদিকে,ঘটনাটি জানতে সংস্থাটির পরিচালক(অপারেশন)হারুন অর রশিদ কে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।