
সেবা ডেস্ক: আগামীতে বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে ডিজিটাল অর্থনীতি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এক্সপোতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সামাজিক বিভিন্ন সূচকে অনেক অগ্রসর। গত দশ বছরে দেশ অনেক অগ্রসর হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে।
এসময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে গেলে দেশে উৎপাদন ও সংযোজনে প্রাধান্য দিতে হবে। আগামী বছরের মধ্যে দেশে দেড় কোটি মোবাইল ফোন সংযোজন হলে তাতে এক লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৬ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় বৈঠকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিতে জোর দেওয়া হয়। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানিমুখী বাণিজ্য শুরু করতে আইসিটি বিভাগ মাঠে নামে।
তরুণ উদ্যোক্তাদের আইডিয়া জানার পাশাপাশি তাদের উদ্ভাবিত পণ্যগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত করিয়ে দিতে চায় আইসিটি বিভাগ। সে লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র তৈরি করে দেওয়া এবং তাদের মূলধন জোগানোর জন্য এই এক্সপো একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে বলে জানান পলক।
‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’।
দেশীয় প্রযুক্তির সমাহার দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের প্রদর্শনী, রাখা হয়েছে আটটি জোন। রয়েছে ইনোভেশন জোন। আইডিয়া প্রকল্পের ৩০টি প্রজেক্ট, এটুআইয়ের ৩০টি প্রজেক্ট এবং ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই জোন। এখান থেকে জানা যাবে তথ্যপ্রযুক্তির নতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ রোবোটিক জোন। এবার এক্সপোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট ‘লি’। বিসিএস এক্সপো জোনে রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির হালনাগাদ সব পণ্য। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। প্রযুক্তি পণ্য কেনার সুযোগও রয়েছে এই জোনে। এক্সপো জোনে রয়েছে ১১০টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল।
হার্ডওয়্যার পণ্য উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিতি করে তোলাই এবারের প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক, আইডিয়া প্রজেক্ট, এটুআই, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনী হচ্ছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।