![]() |
প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত আছেন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি |
শিব্বির আহমদ রানা, প্রতিনিধি, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে উদযাপিত হল বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। বাঁশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৩ অক্টোবর (রবিবার) দুপুর থেকে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ফানুস উড্ডীয়ন করে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন সম্পন্ন হয়।
শিলকুপ জ্ঞানোদয় বিহারের উদ্যোগে আয়োজিত বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি, শীলকুপ জ্ঞানোদয় বিহারের অধ্যক্ষ শিক্ষাবিদ রাহুলপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত বৌদ্ধদের জাতীয় ধর্মীয় উৎস মহান প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি, বিশেষ অথিতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার, বাঁশখালী থানা ওসি তদন্ত কামাল উদ্দিন। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাহারছড়া ইউপির চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, চাম্বল ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, শিলকুপ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার, শিলকুপ জ্ঞানোদয় বিহারের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রিয় বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকাশ বড়ুুয়া।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি বলেন, বাঁশখালী একটি অসম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উর্বর ভূমি। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম পরস্পরের সাথে গড়ে উঠেছে অপূর্ব সম্প্রীতি। অামরা সবাই সবার ধর্মীয় অনুষ্টান উপভোগ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার একটি অসম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির রাষ্ট্র উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় তিনি সব সময় সবার সহযোগীতা পেয়েছেন বলে কৃতজ্ঞতা জানান।
![]() |
ফানুস উড্ডীয়ন করেছেন বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি |
দুপুর থেকে শত শত উপাসক -উপাসিকা একত্রিত হয়ে ঢোল বাজনা, বারুদ, ফাটিয়ে ব্যাপক আনন্দ উৎসাহের মধ্যে দিয়ে উৎযাপিত হল বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম এই প্রবারনা পূর্ণিমা অনুষ্টান। সন্ধ্যা থেকে বাঁশখালীর বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে ব্যাপক আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে ফানুস উত্তোলন করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এরই ধারবাহিকতায় বর্নিল ফানুসে ঢেকে গেছে বাঁশখালীর আকাশ।
পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মের এই প্রবারণা পূর্ণিমায় পুলিশের সার্বিক নিরাপত্তা প্রধান করার জন্য বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ও থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম মজুমদার এর নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বাঁশখালীর প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দির গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
প্রবারনা পূর্নিমা সফল ও সুন্দর ভাবে উদযাপিত হওয়ায় বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনকে, বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতির পক্ষে থেকে সভাপতি রাহুল প্রিয় মহাস্থবীর ও সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া মুক্তা ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য যে, অপরদিকে আগামী ২১ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পযর্ন্ত বাঁশখালীর ৬ টি বৌদ্ধ মন্দিরের কঠিন চীবর দানোৎসবের আয়োজন করেছে বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।