৮০০ বছর আগেই কিতাবে এই ছবিটির রহস্য বলা হয়েছিল

S M Ashraful Azom
0
৮০০ বছর আগেই কিতাবে এই ছবিটির রহস্য বলা হয়েছিল
সেবা ডেস্ক: বেরসিক কুমিরের অভাব নেই! কাছে যাবেন তো আপনার সাথে যেকোনো বিপদ ঘটতে পারে। অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও তাই, কুমির কাউকে ছাড় দেয় না। তবে প্লোভার পাখি একেবারেই ভিন্ন! বলা যেতে পারে কুমিরের একমাত্র বন্ধু। তাদের বন্ধুত্বের কথা প্রায় ৮০০ বছর আগে ‘আজাইবুল মাখলুকাত’ কিতাবেও বলা হয়েছিল।

প্লোভার পাখি ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী কুমিরের মুখে ডুকলে রক্ষা পান না। কিন্তু এই জাতের পাখিগুলো নিমিষেই কুমিরের মুখ থেকে ঘুরে আসতে পারে। মূলত কুমিরের দাঁতের ভেতর একরকম কীট জন্মায়, সেই কীটের জ্বালায় দাঁতের গোড়া ফুলে কুমিরকে এক সময় ভারি কষ্ট পেতে হয়। তখনই কুমির হা করে প্লোভার পাখিকে আমন্ত্রণ জানায়।

আশেপাশে কোনো প্লোভার পাখি থাকলে কোনো ধরনের চিন্তা ছাড়াই প্রবেশ করেন কুমিরের মুখের ভেতর। একটা বা দু’টা নয়, অনেক সময় চার-পাঁচটা পাখি একত্রে কুমিরের মুখে ঢুকে থাকে। এরপর দাঁতে লেগে থাকা খাদ্যকণাগুলো খুটে খুটে খেতে শুরু করে দেয়! এমনকি দাঁতের পোকা-মাকড়গুলোও খেয়ে থাকে। কুমির ইচ্ছে করে সেই সময়ে একবার মুখ বন্ধ করলেই পাখিগুলো উদরসাৎ হয়। কিন্তু যারা তাদের দাঁতের ব্যথা দূর করে দেয়, তাদের সঙ্গে তো পল্টি নেয়া যায় না!

এই প্রতিবেদনের প্রথম ছবিটির সঙ্গে দ্বিতীয় ছবির পার্থক্য ৮০০ বছরে। প্রথমটি হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে তোলা, আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইমাম আবু আব্দুল্লাহ বিন জাকারিয়া বিন মুহাম্মাদ আল কোযয়িনী এর লিখিত কিতাব ‘আজাইবুল মাখলুকাত’ থেকে সংগৃহীত করা হয়েছে। ওই কিতাবে বলা হয়, এমন এক জাতের পাখি আছে যারা কুমিরের দাঁতেরর মধ্যে নিজের খাবার খুঁজবে; এতে কুমিরও শান্তি পাবে।

এভাবেই আফ্রিকান কুমিরদের দাঁতগুলো রক্ষার গুরুদায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে প্লোভার পাখিরা। এর মাধ্যমে তারা পাচ্ছে ফ্রি ফ্রি খাবার, অন্যদিকে কুমির পাচ্ছে নিজের দাঁতের সুরক্ষা। কখনো যদি আবার পাখিগুলো কোনো বিপদের ঘ্রাণ পায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার জুড়ে দেয়। তার চিৎকার শুনে কুমিরগুলো দ্রুত নদীতে ফিরে যেতে পারে। সত্যি, কতই না অদ্ভুত তাদের মধ্যকার এ বন্ধুত্ব!

সোনালি প্লোভার পশ্চিম আলাস্কা ও দক্ষিণ-পূর্ব সাইবেরিয়ার পাখি। তবে এটি শীত কাটায় প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। অনেকেই জানেন, আলাস্কা আমেরিকার অংশ এবং সাইবেরিয়া রাশিয়ার অংশ।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top