জামালপুর সংবাদদাতা : জামালপুরের মেলান্দহে কৃষি ব্যাংকের গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে আমানতের টাকা গায়েবের ঘটনায় সেকেন্ড অফিসার মাসুদুর রহমান(৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ব্যাংক ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নজরে আসার পর ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এবং মেলান্দহ শাখা স্টাফদের সহায়তায় দু’দিন অবরোধ রাখার পর ২৫ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে মেলান্দহ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। মাসুদুর রহমান দেওয়ানগঞ্জের শশারিয়া বাড়ির মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
তিনি আরো জানান-ব্যাংকের গ্রাহকদের সঞ্চয়ী, চলতি, সিসি একাউন্ট থেকে আমানতির টাকা কৌশলে অবৈধপন্থায় তার স্বজনদের অন্য ব্যাংকের একাউন্টে স্থানান্তর করেছেন। ম্যানেজার প্রাথমিকভাবে প্রায় ৭৭ লাখ টাকার হেরফের কথা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তে এই টাকার পরিমান বৃদ্দি পেতে পারে। তবে গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দেয়ার কথাও আশ্বস্ত করেন।
কিন্তু এর বাইরেও গ্রাহকদের একাউন্ট থেকে আরো টাকা গায়েবের প্রমাণ মিলেছে। এদের মধ্যে মেসার্স ইমরান ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারি ব্যবসায়ী হাজী মোঃ মোজাম্মেল হক কায়দা জানান, আমার একাউন্টে ২০ লাখ টাকার মধ্যে ১৬ লাখ টাকা নেই। অপর গ্রাহক রোকনুজ্জামান চৌধুরী জানান-ম্যানেজার আমাকে ডেকে নিয়ে ১৮ লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে নেয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন। গ্রাহক আলহাজ আ: সাত্তার মাস্টারের অভিযোগ-তার একাউন্টে ৪ লাখ টাকার মধ্যে তিনশত টকা আছে। বাকি টাকার হদিস নেই। ইসহাক মন্ডল জানান-একইভাবে সিঙ্গাপুর প্রবাসির ছেলের পাঠানো ৩ লাখ টাকা গায়েব হয়েছে। এভাবে আরো কয়েকজন গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের কথা জানাগেছে। এই হিসেবে ব্যাংক গ্রাহকের একাউন্ট থেকে কোটি টাকার উপরে গায়েবের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
ময়মনসিংহ ডিভিশনাল জিএম দিদারুল আলম মজুমদার জানান-প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করবেন উর্ধ্বতন মহল। তদন্তকালে গ্রাহকের টাকা প্রমাণ করতে পারলে ওই কর্মকর্তার শাস্তি হবে। ওদিকে ২৬ নভেম্বর কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম পান্না লাল কর্মকার, এজিএম জামাল উদ্দিন, অডিট কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি সিংহসহ ৩ সদস্যের আরেকটি অডিট টিম পরিদর্শন করেছেন। সাংবাদিকরা এই অডিট টিমের কাছে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন-তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।
অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম খান জানান-ব্যাংকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী দুদকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। দুদক মামলাটি তদন্ত করবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।