বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে অটো রিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজন কলেজ ছাত্রীকে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও নিবাচনী পরীক্ষা বজন করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। মারধরের ঘটনায় তিন কলেজ ছাত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
পরে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. হজরত আলীর আশ্বাসের পর কলেজে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে,নিলাখিয়া পাবলিক কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নিশি আক্তার, জনি আক্তার, রবিন মিয়া ও ফয়সাল মিয়া সহ কয়েকজন শিক্ষাথী গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য অটোরিকশায় করে কলেজ যাচ্ছিলেন। এ সময় মিন্টু মিয়া নামে এক মোটরসাইকেল চালক বাশঁকান্দা নামক স্থানে পাকার রাস্তায় পেছন থেকে ওই অটোরিকশায় ধাক্কা দেন। মিন্টু মিয়া স্থানীয় ঠাকুরপাড়া গ্রামের শাহাদ আলীর ছেলে।
এ নিয়ে কলেজ ছাত্রীদের সঙ্গে মিন্টু মিয়ার বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উত্তেজিত মিন্টু মিয়া লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। মারধরের ফলে নিশি আক্তার, জনি আক্তার ও রবিন মিয়া মারাত্মকভাবে আহত হলে স্থানীয় সহযোগিতায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কলেজের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনী পরীক্ষা বর্জন করেন এবং দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং মিন্টু মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। কলেজ থেকে মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। উপজেলা কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করলে খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. হজরত আলী উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত হতে বলেন এবং মিন্টুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওরার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা কলেজে ফিরে যায়।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো.হজরত আলী জানান, কলেজের অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতির সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।