
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে আকাশী আক্তার (১৩) নামে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রী। সে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের চান তারা মিয়ার মেয়ে। শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে ইউএনও আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার এই বিয়ে বন্ধ করে দেন।
জানা গেছে, সূর্যনগর গ্রামের চান তারা মিয়ার অষ্টম শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ে আকাশী আক্তারের (১৩) সাথে মেরুরচর ইউনিয়নের খেওয়ার চর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়ার (১৯) এর বিয়ে ঠিক হয়।
শুক্রবার রাতে মেয়ের বাড়িতে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার। তিনি এ সময় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের সুপারভাইজার সুশান্ত কুমার চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক বাল্য বিবাহটি বন্ধ করে দেন।
বাল্য বিবাহের আয়োজন করায় মেয়ের বাবা চান তারা মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা ও ছেলের বাবা রফিকুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার জানান, গত ১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ বিভাগকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আমার বকশীগঞ্জ উপজেলায় বাল্য বিবাহের কোন সুযোগ নেই। যেখানেই বাল্যবিবাহ হবে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।