সেনা সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি

S M Ashraful Azom
0
সেনা সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের আহ্বান জানালেন রাষ্ট্রপতি
সেবা ডেস্ক: জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

রোববার চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুলে এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্টের চার আর্টিলারির জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সম্মান ও মর্যাদার প্রতীক। তাই পতাকার মান রক্ষা করা সব সৈনিকের পবিত্র দায়িত্ব। এই পতাকার সম্মান রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে তাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি জরুরি পরিস্থিতির পাশাপাশি মাতৃভূমির অস্তিত্ব রক্ষায় যেকোনো দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।

১, ২, ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি ও ৩৮ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারির জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে জনকল্যাণমূলক কাজেও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অবদান রাখতে হবে।

এ বিষয়ে তিনি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, তাদের জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে।

আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত উল্লেখ করে তিনি সব সদস্যকে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি ও পেশাগত জ্ঞান অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, একটি আধুনিক, সময় উপযোগী ও শক্তিশালী সামরিক বাহিনী যেকোনো দেশের জন্য অপরিহার্য।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘প্রতিরক্ষা নীতি’ প্রণয়ন করেন। এই নীতির আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোর বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ‘ফোর্স গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরো বলেন, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বর্তমান সরকার আধুনিক সমরাস্ত্র, আর্টিলারি গান ও আধুনিক ইনফ্যান্ট্রি গ্যাজেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অসাধারণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, ভোটার ডাটাবেজ তৈরি ও জরুরি মুহূর্তে বেসামরিক প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে কুঁচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতি সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছবি তুলেন ও দর্শনার্থীদের বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে, রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাকে অভ্যর্থনা জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পার্লামেন্ট সদস্য, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, কূটনীতিক ও রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top