
মো. শাহ্ জামাল, জামালপুর: জামালপুরে পুলিশ পরিচয়ে এক কিশোরী (১৪)কে ঘর থেকে তুলে নিয়ে দলবেধে ধর্ষণ ঘটনায় মিজানুর রহমান (২০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে জামালপুরে সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নে ওই ঘটনাটি ঘটে।
পরদিন রবিবার বিকালে ধর্ষক রাশেদুল ইসলাম পুষন ও মিজানসহ অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে করোনার রোগি সনাক্তের নামে ৪/৫ জন পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে ঘরে তল্লাশের জন্য যায়। রাত ৩টার দিকে ওই বখাটের দল ঘরে করোনা রোগি আছে মর্মে ঘরের দরজা খুলতে বলে। প্রথমে বাড়ির মালিক জানিয়ে দেন আমাদের এলাকায় কোন করোনা রোগি নেই। এরপর নিজেদের পুলিশের লোক পরিচয় দিলে বাড়ির মালিক ঘরের দরজা খুলে দেন।
এ সময় মিজান ও পুষণকে চিনে ফেলেন। তারা বাড়ির মালিকের কাছে এক গøাস পানি খাইতে চায়। পানি খাওয়ার কথা বলে ঘরে থাকা কিশোরীকে টেনে হিচড়ে বের করে। এ সময় কিশোরীর পিতা এগিয়ে এলো তাকেও মারধর শেষে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায়। কিশোরীকে নির্জনে নিয়ে দলবেধে ধর্ষণ করে। অজ্ঞান অবস্থায় কিশোরীকে ঝিনাই নদীরপাড়ে ফেলে দেয়। পরদিন অসুস্থ্য ধর্ষিতার খোঁজ পেয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি সালেমুজ্জামান জানান, মিজান নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সোমবার(৩০মার্চ) দুপুরে কিশোরীর ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
