
মো. হারুন অর রশিদ হারুন , বিশেষ প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের পাথরেরচর বাজার হাজি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মার্কেট মালিকের ঘর ও তিনজন ব্যবসায়ীর ৬টি দোকান ও গুদামের মালামালসহ অর্ধকোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে পাথরেরচর বাজারের এল-প্যাটার্ন টিনশেড হাজি মার্কেটে আগুন লাগে যদিও তখন বিদ্যুৎ ছিল না। ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তিনজন ব্যবসায়ীর ছয়টি দোকান ও গুদামে আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। স্বদিচ্ছা থাকা সত্যেও স্থানীয়রা করোনা আতঙ্কে একত্রিত হতে পারেনি, তবুও গ্রামবাসী বালি ও পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান।মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে পড়লে আগুন লাগার প্রায় ৫০ মিনিট পর দেওয়ানগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপন গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছুলেও বিশাল মার্কেটঘরসহ তিনজন ব্যবসায়ীর ছয়টি দোকান ও গুদামের সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়। এতে ব্যবসায়ী রবিউল আলমের পার্টেক্স ফার্নিচার ও মেশিনারিজ যন্ত্রাংশের দোকান ও একটি লেপতোষকের দোকান, প্রাণ কোম্পানির এজেন্ট মো. ইব্রাহিমের একটি দোকান ও দুটি গুদাম এবং আলমের হুণ্ডার গ্যারেজ পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মার্কেটঘর মালিক ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।
ডাংধরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মোঃ মাসুদ বলেন, আগুন লাগার খবর পাওয়া সত্বেও করোনা আতঙ্ক ও দোকানে মজুত গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় লোকজন আসতে ভয় পান। এর পরেও কিছু জনতা বালি ও পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে আসতেই দোকান ও গুদামগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের পারটেক্স, ফার্নিচার, মেশিনারিজ যন্ত্রাংশের ও লেপতোষকের দোকানের। ২য় পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্যবসায়ী ইব্রাহিমের কোমল পানীয় ও নুডলসের গুদামের। এখবর রেখা পর্যন্ত আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল (ওবায়দুল) বলেন, প্রবাস খেটে যা কামাই করেছিলাম তার সবটুকুই এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলাম কিন্তু সর্বনাশা আগুন আমার সব কেরে নিলো।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের সাথে দেখা করতে গেলে তাকে
নির্বাক অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়।
এলাকাবাসী জানান, রাস্তাঘাটের চরম ভোগান্তির কারণে ও দুরত্ব বেশি হওয়ায় দ্রুত খবর দেওয়ার পরেও যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেনি ফ্যায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
