জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে পৃথক সংঘর্ষে মেম্বারসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছে। সঘর্ষে আহতদেরকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এবং বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের সাজিমারা এলাকায় পৃথক সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ফকিরপাড়া গ্রামের মুসা আলীর ছেলে রকিবুল হক (৮)’র খেলার সাথী হুরমুছ আলীর নাতী রাজুর (৭) মধ্যে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে উভয় পরিবারে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মুসা আলীর লোকজন হুরমুছ আলীর বাড়িতে হামলা করে। হামলায় মহিলাসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। গুরুতর আহত হযরত আলী (৬০), হাসনা (৫০), মরজত (৫৫), বাতাসী (৫০), জরফুল (৫২), হুজুরা (৪২), সোনাহার (২৫), কল্পনা (৩২), আমিরুল (২৪), হানিফ (৪০), মেজরকে (৩৮) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলা শিকাররা বলেছেন, এ সময় তাদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগও করা হয়েছে।
অপরদিকে সাজিমারায় পূর্বপাড়া বনাম পশ্চিমপাড়ার ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলাকে কেন্দু করে উভয়দলে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে উভয় দলের মধ্য দিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ।
টানটান উত্তেজনার মুহুর্তে শুক্রবার সকালে নিলক্ষিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তার ঘটনাস্থলে হাজির হন। তিনি বিষয়টি নিস্পত্তির আশ^াস দেন।
চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পরই দু’পক্ষের মধ্যে মারমুখি পরিবেশের একপর্যায়ে ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন (৪২), ছাউদ (৫৫), লাল চান (৬০), বদিউজ্জামান (৫৫), মোস্তফা (৩৮), বাচ্চু (৪৫), কালু (৩০), শাপলা (৬৫), শাহজাহান (৪০), মাজেদ (৩৫), সুজন (৩০), সজিব (২৫), শাজাহান আলী (৪০), শিপন (১৮), জমশের (৫৫) ও লাল মিয়াকে (৬০) ভর্তি করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্্রাট জানান, মামলা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছবি: বকশীগঞ্জে সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে।