
হে পুরুষ হ্যা, আমি আপনাকেই বলছি?
আপনি নাকি গৃহকর্তা!
কথাটা কী আদৌ সত্য?
নামমাত্র পিতৃশাসিত আমাদের এই সমাজব্যবস্থায় আসলেই কী আপনি শাসক?
নারী-পুরুষ সমান অধিকারের স্লোগানে মুখরিত আপনি আসলেই কী সমান অধিকারটুকুন পাচ্ছেন?
একটা সময় ছিল যখন নারী ঘড়ে সীমাবদ্ধ ছিল। ইসলাম যেটা সমর্থন করে সেটা না বুঝার ধরুন আমাদের কাছে ভাল লাগেনি। তাইতো নারীবাদ প্রতিষ্ঠায় আমরা উঠেপরে লেগেছি এবং প্রতিষ্ঠা করেছি।
নারীবাদ। হ্যা, নারীবাদ।
শব্দটার প্রকৃত অর্থ আমরা আসলেই কী বুঝতে পেরেছি?
নাকি আমাদের গোড়ামী তাতে বাধ সেধেছে?
এটা কেমন নারীবাদ যেখানে নারীরা আজকে বাজারমুখী?
ইসলাম যেখানে তাদেরকে ঘড়ের শোভা হিসেবে সম্মানিত করেছেন সেখানে তারা আজকে বাহ্যিকতার লালসা মাত্র!
"সে-যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক, নারীরা আছিল দাসী!
বেদনার যুগ,মানুষের যুগ, সাম্যর যুগ আজি,
কেহ রহিবেনা বন্দী কাহারও, উঠিছে ডঙ্কা বাজি!
নর যদি রাখে নারীরে বন্দী, তবে এর পর যুগে
আপনারি রচা অই কারাগারে পুরুষ মরিবে ভুগে।"
কাজী নজরুল ইসলাম হয়তো এমন কোন যুগের কথা আমাদেরকে বুঝাতে চায়নি!
যে অঙ্গ ঢেকে রাখার তা যেমন উন্মুক্ত রাখাটা নিতান্তই লজ্জাজনক তেমনি নারীবাদের নামে নারীদেরকে বাজারের পন্য বানিয়ে ফেলাটা তার চেয়েও বেশি লজ্জাজনক।
এর জন্য দায়ী আমরা। হ্যা আমরা নিজেরাই দায়ী।
নিজের ঘড়ের মানুষটিকে বীনা প্রয়োজনে তার সামান্য বায়না রাখতে গিয়ে বাজারে পাঠিয়ে দিলাম। তার অশ্লীল চাহিদা পূরন করে তাকে খুশি করলাম। এর জন্য আমাদেরকেও ভোগতে হবে। হচ্ছে তো!
অন্তরচক্ষু খুলে দেখুন। আপনি কী করেছেন?
আজকে বাজারে গেলে পুরুষের তুলনায় নারীরাই এগিয়ে! ঘড়ের কী লাগবে সেটা আমার চেয়ে ও ভাল জানে, এমন কথার ঢোল পিটানো বন্ধ করুন। ঘড়ের সামান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যগুলো হাতের নাগালে পাওয়া গেলেও সেটা গ্রহন না করে তাদের কথায় সায় দিয়ে বাজারে পাঠিয়ে দিলেন। লজ্জা হয় না আপনার!
আমাদের পূর্বপুরুষেরা কী পারেনি? তাদের সময় তো সবকিছু আরো কঠিন ছিল। তবু তারা পেরেছিল। হ্যা পেরেছিল বলেই তাদের সময়টা খুব সুন্দর ছিল। সমাজে এত পরকীয়া কিংবা নোংড়ামী ছিল না!
নিজেকে শোধরান! নারী ঠিক শোধরে যাবে। তাদেরকে বাজারমুখী করবেন না। হ্যা, বাজারমুখী করবেন না।
ঘড়ে কোন পুরুষ নেই তাই বাধ্য হয়েই তাদেরকে বাহিরে পাঠাচ্ছি। এটা কোন যুক্তি নয়। প্রযুক্তির এই যুগে ঘড়ে বসে সব করা গেলেও ঘড়ের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য কেন নারীদেরকে বাজারে ঠেলে দিচ্ছেন? আপনার মৃদু সমর্থন এর জন্য নারীরা আজকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বাহিরে যাচ্ছে!
এখনো সময় আছে প্রকৃত গৃহকর্তা হয়ে উঠুন।
প্রবাসে অবস্থানরত প্রতিটি সৈনিকের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনার পরিবারকে এভাবে বাজারে ঠেলে দিবেন না।
মনে রাখবেন,,,
তার প্রতিটি কদমের হিসাব আপনাকেও দিতে হবে!
লেখক
এম মুন্না
বকশীগঞ্জ, জামালপুর