সেবা ডেস্ক: ছোট ভাই ও সহকারী একান্ত সচিব বীর মুক্তিযাদ্ধা মোঃ আবদুল হাইয়ের জানাজা-দাফনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গতকাল সোমবার হাওড়াঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেছেন। এর আগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ছোট ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে রাষ্ট্রপতি রবিবার ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে প্রায় আট মাস পর নিজ জন্মভূমি মিঠামইনের কামালপুরে আসেন। সেখানে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে বসতবাড়ির প্রাঙ্গণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন।
এ সময় অশ্রুসিক্ত নয়নে ছোটভাইকে শেষ বিদায় জানানোসহ রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি। ওইদিন রাষ্ট্রপতি কামালপুরে নিজবাড়িতে রাতযাপন করেন। সোমবার বেলা দুইটায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ মিঠামইনের নিজ বাসভবন থেকে সড়কপথে অষ্টগ্রাম উপজেলার জিরো পয়েন্টে যান।
এ সময় তিনি মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রাম উপজেলার সংযোগ রাস্তার অলওয়েদার সড়ক পরিদর্শন করেন। তিনি হাওড়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করে তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বিকেলে রাষ্ট্রপতি পার্শ্ববর্তী ইটনা উপজেলা পরিষদে যান। সেখানে উপজেলার নানামুখী উন্নয়ন কাজের খোঁজ-খবর নেন। পরে তিনি আবারও সড়কপথে মিঠামইন উপজেলায় গিয়ে বাড়ির পাশের সড়ক ঘুরে দেখেন। এ সময় সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির জ্যেষ্ঠপুত্র রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোঃ শামীমুজ্জামান, প্রেসসচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন ছাড়াও জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম-বার, রাষ্ট্রপতির ছোট বোন মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ইটনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, মিঠামইন সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শরীফ কামালসহ প্রশাসনের সামরিক-বেসামরিক উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন তিনি কামালপুরে নিজ বাসভবনে রাতযাপন করেন। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে বঙ্গভবনের উদ্দেশে মিঠামইন উপজেলা ত্যাগ করার কথা রয়েছে তাঁর।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।