শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ৩৩ শতক জমি কিনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নজির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে আইনি মোতামতসহ ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগি পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বড়াইকান্দি গ্রামের আব্দুল হামিদের ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে মেয়ে রাশেদা খাতুন, রাজিয়া সুলতানা ও রোজি বেগম এর পৈত্রিক সম্পত্তির অংশিদার হিসেবে ৮১ শতক জমির মধ্যে ২৭ ও রেওয়াজ বদল ৬ শতক মোট ৩৩ শতক জমি একই ইউনিয়নের বড়াইকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ সরকারের ছেলে নজির হোসেনের কাছে বিক্রয় করেন। এতে ২টি দলিল সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রথম দলিল নম্বর ১০৫ ও দ্বিতীয় দলিল নম্বর ১০৭। যার বোয়ালমারী মৌজার জেএল নং ১৮, খতিয়ান এসএ ১৩৭৩, খতিয়ান নং ৮৬৬, দাগ নং এসএ ৪৩২৮, হালদাগ ৬০৫৭।
অভিযোগ রয়েছে মৃত আব্দুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুল হামিদের দুই ছেলে বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সামছুল আলম ও নুরুল আমিন মিলে একই জমি থেকে সাড়ে ১০ শতক জমি সোহরাব হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। এ নিয়ে নজির হোসেন ও সামছুল আলম এর মধ্যে কিছু দিন থেকে দ্বন্দ চলে আসছে। উক্ত ৩৩ শতক জমি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নজির হোসেন বোনদের কাছ থেকে বন্ধক নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। পরবর্তীতে পারিবারিক অর্থ সংকটের কারনে ওই ৩৩ শতক জমিটি নজির হোসেনের কাছে বাজার মুল্যে বিক্রয় করেন তার বোনেরা। আব্দুল হামিদের মেয়ে রাশেদা খাতুন, রাজিয়া সুলতানা ও রোজি বেগম এর পৈত্রিক সম্পত্তির অংশিদার হিসেবে জমির অন্যন্য ৮৬৭ ও ৮৬২ সহ অন্যান্য ৭ টি দাগে মোট ৩ একর ১৪ শতক জমির অংশ পাবেন। জমির প্রথম ক্রেতা নজির হোসেন ও দ্বিতীয় ক্রেতা সোহরাব হোসেনের মধ্যে চলছে দ্বন্দ। এনিয়ে ওই গ্রামে আইনি মতামত নিয়ে একাধীকবার শালিসি বৈঠক বসা হয় । এতে জমির কাগজপত্র ও আইনি মতামতের ভিত্তিতে নজির হোসেনের পক্ষে রায় দেন শালিসদারগণ। রায় না মেনে উল্টো নজির হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নানা ভাবে ভয়ভিতি দেখানো হয় এবং শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সামছুল আলম। এতে নজির হোসেন সামাজিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এর আগে নজির হোসেন কুড়িগ্রাম জেলা কোর্টে মামলা দায়ের করলে কোর্ট থেকে ওই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করেন। এ ঘটনায় রৌমারী থানার সিনিয়ির এসআই আব্দুল মতিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মাতাম্বর রহিম বাদশা বলেন, বোনেরা তাদের পিতার অংশের ৩৩ শতক জমি নজির হোসেনের কাছে বিক্রি করেন এবং আমার হাত দিয়ে টাকা লেনদেন হয়। অযথা নজির হোসেনকে হয়রানির করা হচ্ছে।
রাজিয়া সুলতানা রুমি বলেন, পৈত্রিক জমি থেকে আমরা অনেকগুলো জমি পাই। এ জন্য ৮১ শতক জমির মধ্যে তিন বোন মিলে ৩৩ শতক জমি নজিরের কাছে বিক্রি করেছি। যেহেতু আমরা অন্য জমি থেকে আরো অংশ পাই। নজির হোসেনের কাছে জমি কবলা দিয়ে নগদ টাকাও নিয়েছি এবং অর্ধেক টাকা ভাইদেরকেও দিয়েছি। আমাদের বাকি জমির অংশ বর্তমান ভাইয়েরা ভোগদখল করছে।
শৌলমারী ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জানান, বীরমুক্তি যোদ্ধার বোনেরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে অনেক জমি পায়। তার মধ্যে মাত্র ৩৩ শতক জমি বিক্রি করেছে এবং টাকাও নিয়েছে। বোনেরা যে জমি বিক্রি করেছে তা সঠিক রয়েছে।
বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার সামছুল আলম জানান, ওই ৩৩ শতক জমিতে আমাদের অংশ রয়েছে ফলে দুই ভাই মিলে সাড়ে ১০ শতক জমি বিক্রি করেছি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।