রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের নসরতপুর গ্রামের কবরস্থানে তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠানে আসা তাবাচ্ছুম খাতুন (৮) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। নিহত তাবাচ্ছুম নসরতপুর গ্রামের বেলাল হোসেনর খোকনের মেয়ে এবং পাঁচথুপি-নসরতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
মঙ্গলবার সকালের দিকে ধুনট থানা থেকে তাবাচ্ছুসমের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠানের পাশে ২০০ মিটার দুরে একটি বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু তাবাচ্ছুমের মা-বাবা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন। শিশুটি দাদা-দাদির সাথে নসরতপুর গ্রামে থাকে পড়া লেখা করতো। এ অবস্থায় প্রশাসনের অনুমোতি ছাড়াই নসরতপুর জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থানে দুই দিন ব্যপী তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করেন পরিচালনা কমিটি। সোমবার রাত ৮টার দিকে ওই শিশুটি দাদা-দাদির সাথে তাফসীর মাহফিল অনুষ্ঠানে যায়। পরে তারা মঞ্চের সামনে বসে তাফসীর শুনতে থাকেন।
এসময় সোমবার রাত ১০টার দিকে শিশুটি তার দাদার কাছ থেকে ১০টাকা নিয়ে চিপস কেনার জন্য মঞ্চের বাইরে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজা-খুঁজির এক পর্যায়ে তাফসীর মাহফিলের স্থান ও বাড়ির রাস্তার মাঝ পথে একটি বাঁশঝাড়ের ভেতর বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতার নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃতু বলে ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ শিশুটির মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠায়। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত তাবাচ্ছুমের দাদা আব্দুর সবুর ও দাদি খোদেজা বেগম বলেন, তাফসিরুল কোরআন মাহফিল চলাকালিন সময় পাশের দোকান থেকে সদাই (চিপস) কেনার কথা বলে ১০টাকা নিয়ে চলে যায়। এর পর আর ফিরে আসে নাই। অনেক খুঁজা-খুঁজির পর অনুষ্ঠান স্থল থেকে ২০০মিটার দুরে রাস্তার পাশে একটি বাঁশঝাড় থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পাশেই পড়ে ছিল শিশুটির পরনের কাপড়।
ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, নসরতপুর গ্রামের কবরস্থানে অনুষ্ঠিত তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের জন্য সরকারি ভাবে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন শিশুটি ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনাটি তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা ও গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।