শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের মোগলবাসা ঘাট থেকে ছেড়ে আসা নৌকায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের দিক হারিয়ে ১৩ ঘন্টা পর গন্তব্যেস্থানে পৌঁছে। ব্রহ্মপুত্র নদের একটি চরে যাত্রীরা সারারাত অবস্থান করেন। এসময় নৌকার যাত্রীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের মধ্যে দুইজন প্রসূতি মা’ও ছিলেন। গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে কুড়িগ্রামের রৌমারী ব্রহ্মপুত্র নদে।
নৌকা ঘাটের ইজারাদার সুত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের মোগলবাসা ঘাট থেকে প্রায় ৭০ জন যাত্রী নিয়ে বিকাল ৪ টা ৫২ মিনিটে নৌকাটি ছেড়ে দেন। ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝখানে আসার পর ঘনকুয়াশার কারনে নদের দিক হারিয়ে ফেলেন নৌকার মাঝি। পরে ওইখানে জনবসতিহীন একটি চরে নৌকা নদের কিনারে এসে থামান। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই কান্না করেন। দিক হারিয়েছে বুঝে অনেক যাত্রী ফেইসবুকে পোস্ট দেন তাদের উদ্ধারের জন্য। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশার কারনে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সারারাত ওই চরে অবস্থান করে পরের দিন সকাল ৮ টায় রৌমারীর ফলুয়ারচর নৌকাঘাটে পৌঁছান। এসময় নৌকায় থাকা যাত্রীদের স্বজনরা সেখানে ভিড় জমায়। কুড়িগ্রাম মোগলবাসা থেকে রৌমারী ফলুয়ারচর ঘাটে নৌকা পৌঁছিতে সাড়ে ৩ ঘন্টা সময় লাগে। ওই সময় নৌকার মাঝি হিসেবে নজরুল নামের এক ব্যক্তি ছিলেন।
প্রসূতি মা নুপুর বলেন, নৌকাটি রৌমারীর উদ্দেশ্যে বিকাল ৪ টায় ছাড়া কথা থাকলেও তা না করে বিকাল পনে ৫টায় ছেড়ে দেয়। আমার কোলে ৭ দিন বয়সের দুই জমজ বাচ্চা নিয়ে চরে সারারাত কাটাই। আমার খুব ভয় হচ্ছিল।
নৌকায় থাকা পানি উন্নয়ন বোডের্র দায়িত্ব থাকা মাইন উদ্দিন জানান, সময় অনুযায়ী নৌকাটি ছেড়ে না দেওয়াই ও ঘনকুয়াশার কারনে দিক হারিয়ে অন্য চরে নৌকাটি আটকা পড়ে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, রাতেই বিষয়টি ফেইসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। তবে নৌকাটি সময় মত ছেড়ে না দেওয়া, নদের খনন না থাকায় ও ঘনকুয়াশার কারনে এধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করবো দ্রæত নদ-নদী খনন করে দিলে নৌকা পারাপারে সুবিধা হবে এবং এ ধরনের সমস্যা আর হবে না।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।