লিয়াকত হোসাইন লায়ন,জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনার নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধেঁ আশ্রিতরা স্থায়ী বসত ভিটা ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন আশ্রিত তিন শতাধিক পরিবার। বাধেঁ নলকূপ ও পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থার সংকট নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা এসব ভূমিহীন পরিবার সরকারের নিকট স্থায়ী বসত ভিটার দাবী জানান।
সরে জমিনে গিয়ে জানাগেছে,গেল বন্যায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের বেড়কুশা ও হরিনধরা গ্রামের যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারিয়ে নি:স্ব হয়েছে তিন শতাধিক পরিবার।
ভিটে মাটি হারিয়ে এসব পরিবার আশ্রয় নিয়েছে পাথর্শীর মোরাদাবাদ থেকে কুলকান্দি পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধেঁ। নলকূপ ও পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি নিয়তই পড়তে হচ্ছে নানা সমস্যায়। কারও আবার বসবাস করতে হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। নিজের ভিটে মাটি হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাধেঁ আশ্রয় নিয়ে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। একটু আশ্রয়ের জন্য সরকার বাহাদুরের দিকে তাকিয়ে আছে এসব ভূমিহীন পরিবার।
আশ্রিত রামেছা বেগম বলেন-নদী ভাঙগি বাড়ি ঘর সব শেষ,এখন যাওয়ার জায়গা নাই,সরকার যদিল আমগরে এল্লা ঘর জমি দেয় তাইলে শান্তি পামু। জহুরা বেগম বলেন- নদীর উফরে থাহি,ঘরডাও ভাঙ্গা.হিয়েল বাতাসে থাকপের পাইনে, তাদের মত একাধিক নারী পুরুষ তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থার দাবী জানান।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বাবু জানান- হরিণধরা,বেড়কুশা গ্রাম ভেঙ্গে ভূমিহীন এসব পরিবারের স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করা খুবই প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ এস এম জামাল আব্দুন নাসের জানান- নদী ভাঙ্গা,ভুমিহীন এসব আশ্রিত পরিবারের জন্য মাননীয় মন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল মহোদয়ের নির্দেশে তাদের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্য তাদের দাফন কাফন ও গুরুস্থানের জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষে ৬৫হাজার টাকা চেক তুলে দিয়েছি। যমুনার করাল গ্রাসে নি:স্ব হয়ে যাওয়া এসব পরিবার দ্রæতই মাথা গুজার ঠাই ফিরে পাবে বলে তিনি জানান ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।