বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার মেরুরচর ইউনিয়নের ভাটি খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাটি খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেন স্থানীয় আজিমল হকের ছেলে আবদুল আউয়াল, তার চাচাত ভাই সাজু মিয়া, শফিউল ইসলাম।
মঙ্গলবার তারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবা বেগমের সাথে যোগসাজস করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার গাছ কেটে নিয়ে যান। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে গাছ গুলো দ্রæত সড়িয়ে ফেলেন তারা। আবদুল আউয়াল দাবি করেন তার জমির গাছ তিনি কেটেছেন।
স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান , শুধু গাছ কেটে নেওয়ায় নয় আবদুল আউয়াল ও তার স্বজনরা মিলে জোর করে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে ঘরে তুলে নিচ্ছেন। আর এতে সহযোগিতা করছেন প্রধান শিক্ষক নিজে।
এ ব্যাপারে ভাটি খেওয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবা বেগম জানান, কেটে নেওয়া গাছ গুলো বিদ্যালয়ের নয়। বিদ্যালয়ের জমিদাতা পরিবারের সদস্যরা তাদের নিজের জমির গাছ কেটে নিয়েছেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রশিদা বেগম জানান, বিদ্যালয়ের সীমানার গাছ কাটার বিষয়টি আমি শুনেছি, তারা গাছ গুলো নিজেদের জমির বলে দাবি করেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।