রফিকুল আলম, ধুনট: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিবাদমান জমি থেকে গাছ কেটে সেখানে ঘর নির্মান করে দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার পিরহাটি গ্রামের এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পিরহাটি গ্রামের আব্দুর রহমানের সাথে তার বোন আলুফা খাতুনের পৈত্রিক সাড়ে ১৭ শতক জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিবাদমান জমিতে আলুফা খাতুন প্রায় ১৫ বছর আগে কাঠ গাছের বাগান ও বাড়ি নির্মান করে বসবাস করছে। এ অবস্থায় আব্দুর রহমান ওই জমির অংশ থেকে ১২ শতক জমি একই এলাকার শাহ জামালের নিকট বিক্রি করে। ফলে ভাইয়ের বিক্রি করা জমি ফেরত পেতে ২০০৯সালে আলুফা খাতুন বাদি হয়ে শাহ জামালের বিরুদ্ধে আদালতে প্রিয়েমশন মামলা দায়ের করে। মামলাটি শুনানী শেষে ২০১০ সালে আদালত থেকে ওই জমির উপর স্থিতী অবস্থা জারী করা হয়।
এ অবস্থায় শাহ জামাল তার লোকজন নিয়ে শুক্রবার বিবামান জমি থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৭ ইউক্যাপিল্টাস গাছ কেটে বিক্রি করে সেখানে বসতঘর উত্তোলন করেছে। এ ঘটনায় আলুফা খাতুনের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ওই জমির মালিকানা দাবি করে শাহ জামাল বলেন, আলুফা খাতুনের ভাইয়ের নিকট থেকে গাছ সহ ওই জমি কিনে নিয়েছি। তাই আমি গাছ গুলো কেটে বিক্রি করে সেখানে ঘর উত্তোলন করেছি। ওই জমি নিয়ে আদালতে বিচারাধিন মামলাটি আইনী ভাবে মোকবেলা করা হবে।
আলুফা খাতুনের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, শাহ জামাল ভাড়া করা লোকজন নিয়ে গাছ গুলো কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের পরেও তারা গাছ গুলো কেটে নেয়। এসময় বাধা দিলে তারা আমাকে মারপিটের হুমকি দেয়।
ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মণ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বিবাদমান জমি থেকে গাছগুলো কেটেছে। পরে গাছের কাটা অংশ জব্দ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।