এভা পাটানি, জুলিয়া টেইলর ও পরশ মনিকে ফলো করেন মামুনুল হক!

S M Ashraful Azom
0
এভা পাটানি, জুলিয়া টেইলর ও পরশ মনিকে ফলো করেন মামুনুল হক!


সেবা ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকে তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ হচ্ছে না। গ্রামের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে জাতীয় সংসদেও। 

যদিও শুরু থেকেই ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছিলেন মাওলানা মামুনুল হক। এবার মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অশ্লীল পেজ ফলো করার প্রমাণ মিললো।

সোনারগাঁওয়ের রয়াল রিসোর্টে গত শনিবার (৩ এপ্রিল) নারীসহ তাকে অবরুদ্ধ করেছিল স্থানীয় লোকজন। এরপর পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। 

মুক্ত হওয়ার পর লাইভে এসে বক্তব্য দেন মাওলানা মামুনুল হক। ফেসবুকে একটি প্রোফাইল থেকে মামুনুল হক লাইভে আসেন। 

এই আইডি থেকে লাইভে মামুনুল দাবি করেন, ‘আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেননি। কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম।’ মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়বা। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। 

প্রায় তিন লাখ ফলোয়ার বিশিষ্ট যে প্রোফাইল থেকে মামুনুল এসব কথা বলেন সে প্রোফাইলটিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পরশমনি, এভা পাটানি ও জুলিয়া টেইলর নামে কয়েকটি পেজে ফলো দেওয়া রয়েছে। 

‘পরশমনি’ নামের ওই পেজে সর্বশেষ কয়েকটি পোস্ট মামুনুল হককে নিয়ে হলেও এর আগেকার বেশিভাগ পোস্টই ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য সব বিষয় নিয়ে। অশ্লীল এ পেজটিতে বিভিন্ন সময়ে ধারণকৃত এবং ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করা হয়ে থাকে। 

এ ভিডিওগুলোর বেশিরভাগই গোপনে ধারণকৃত। এছাড়াও এভা পাটানি নামক প্যাজটিতে নগ্ন মেয়েদের ছবিতে ভরা।

মামুনুল হক আমেনা তৈয়বা নামে যে নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন তার আসল নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। নারায়ণগঞ্জের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রচারের পর এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। 

জান্নাতের বাবার বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়ও এখন ঝর্ণাকে নিয়েই চলছে আলোচনার ঝড়। তবে জান্নাতের আগে বিয়ে হয়েছে, দুটি সন্তানও আছে, এ কথা সবাই জানলেও দ্বিতীয় বিয়ের কোনো খবরই জানেন না এলাকাবাসী।

সরেজমিনে রোববার (৪ এপ্রিল) ঝর্ণার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মেয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার নয় বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তার বাড়ি বাগেরহাটের কচুড়িয়া এলাকায়। তাদের আব্দুর রহমান (১৭) ও তামীম (১২) নামে দুজন ছেলে রয়েছে।

পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জেরে আড়াই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তারপরে দু’বছর আগে পরিবার থেকে পাত্র দেখে মেয়েকে বিয়ে করার কথা বললে ঝর্ণা বলত তার বিয়ে হয়ে গেছে, তাই তার জন্য আর কোনো পাত্র না দেখতে। তবে কার সঙ্গে সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, সে কথাটি পরিবারকে জানায়নি কখনো। শুধু একবার ভিডিও কলে তার দ্বিতীয় স্বামী মামুনুল হককে দেখিয়েছিল। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি তিনি ছিলেন মাওলানা মামুনুল হক।

প্রথম স্বামী হাফেজ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল্লাহর সঙ্গে জান্নাত আরা ঝর্ণার পরিবারের কোনো যোগাযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান, ডিভোর্সের পরে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখেনি তারা। তাই হাফেজ শহীদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  



শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top