ডা: জি এম ক্যাপ্টেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম সদর হলোখানা ইউনিয়নে ১০ জনকে আহত করে জমি জবরদখলের পায়তারা চালিয়েছেন প্রতিপক্ষ। আহতরা কুড়িগ্রাম ও রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জানা গেছে, হলোখানা ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামে মোঃ আবেদ আলী ও আব্দুল জলিল এর মধ্যে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। উভয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ উদ্যোগ নিয়ে জমির কাগজপত্র অনুযায়ী পজেশন বুঝে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রায় সক্ষম হয়েছিল। গত ২৪ জুন ২০২১ ইং সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে শালিসের মাধ্যমে পূর্বের থেকে গুছিয়ে আনা সুশৃঙ্খল ফলাফল ঘোষণা করার দিন ধার্য্য ছিল। সেদিন সকালে শালিসকে অমান্য করে আব্দুল জলিল তার ভাড়া করা গুন্ডা বাহিনী এনে আবেদ আলীদের দীর্ঘদিন দখলে থাকা জমির উপর উপর্যপুরী গাছের চারা রোপণ করতে থাকে। এসময় আবেদ আলীর পরিবারের নজরুল (৫০), আতিকুল (২৩), মজিদুল (২৮), হুজুর আলী (৫০), রাজ্জাক (২৪), ফয়জুদ্দিন (৬০), আরমান (২৬), তাহেরা (৪০), শহিদুল (৩০) ও রাবেয়া বেগম গুরুতর আহত হয়। আহতদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করা হলে আশংকাজনক অবস্থায় নজরুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে। আবেদ আলীর স্ত্রী কেদে কেদে জানায়, তারা আমাদের জমিতে জোর করে গাছ লাগাতে আসে। এসময় আমাদের ১০ জনকে বেদম মারপিট করে জখম করেছে। তারা আমাদের বাড়ি ভাংচুর করে অগ্নি সংযোগ করার চেষ্টা চালিয়েছিল। আব্দুল জলিলের পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, আমাদের জমিতে আমরা গাছের চারা রোপণ করেছি, ওরাই আমাদের মারপিট করেছে। হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উভয়ের মধ্যে জমির বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে এই বিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে ফলাফল ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু আব্দুল জলিলরা শালিসকে উপেক্ষা করে ঐদিন সকালে আবেদ আলীদের জমিতে গাছের চারা রোপণ করতে যায়। যার ফলে মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটলে ১০/১১ জন আহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।