কাজিপুর প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যমুনা নদীতে। আর পানি বৃদ্ধির সাথে উপজেলার মাইজবাড়ি ইউনিয়নের ঢেকুরিয়ায় যমুনানদী তীরে নির্মাণাধীন ইকোপার্কের নির্ধারিত স্থানে ধস নামে। তবে ওই ধস ভয়ংকর হবার আগেই তা মেরামতের কাজ শুরু করেছে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আজ (২৯ জুন) সকালে সোমবার ইকোপার্ক এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে মেসার্স শামিম এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বালি বোঝাই জিও ব্যাগ ও প্লাস্টিক বস্তা ধসে যাওয়া অংশে ফেলার কাজ শুরু করেছে।
পাউবোসূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭/১৮ অর্থবছরে কাজিপুরের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৌখিক নির্দেশনা ও প্রচেষ্টায় যমুনানদীর ডানতীরে তীরে ইকোপার্কের জন্য ১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ঐ বছরই পার্কের জন্য নির্ধারিত স্থানে মাটি ভরাট করা হয়। একই বছর পার্ক এলাকায় যমুনানদী তীঁর সংরক্ষনের কাজও পানি উন্নয়ন বোর্ড শেষ করে ।
যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢেউ আছড়ে পড়ে চারদিন পূর্বে ইকোপার্ক এলাকায় তীর সংরক্ষণ ব্লকে ধস নামে। খবর পেয়ে ধস ঠেকাতে কাজ শুরু করেছে পাউবো। বিলতচল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, গতবছরও বন্যার সময়ে ইকোপার্কের পূর্বপাশে ধস দেখা দিয়েছিলো।
ইকোাপার্ক সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা নওসের আলী জানান, নদীর তীর বাইন্দা দিছে। কিন্ত কোন কারণে যদি ছোটে(ভেঙ্গে যায়) তাইলে আমরা শ্যাষ হইয়া যামু। তাই সব সময় হেগোর(পাউবো) নজর রাখা লাইগবো।(লাগবে)
সিরাজগঞ্জ পাউবো’র এসও হায়দার আলী জানান, কাজিপুর এলাকার নদীতীঁর সংরক্ষণ কাজের ঝঁকিপূর্ণ ৫২০ মিটার মেরামতের জন্য চলতি বছর ২৭ কোটি টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। ইকোপার্ক এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান হওয়ায় বন্যায় ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় ১০ হাজার বালির বস্তা ড্যাম্পিং করা হচ্ছে। আর শুষ্ক মৌসুমে সিসি ব্লক বসিয়ে পিচিং করে দেয়া হবে।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।