ঘাটাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী-ভরাডোবা সড়কের প্রায় পাঁচশ মিটার এলাকা ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা; দীর্ঘদিনে চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি আরো খারাপ হলে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়ে। এলাকার মানুষের দুর্ভোগের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ও সরজমিনে দেখতে পেরে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসলেন জেলা যুবলীগের সদস্য ও সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিক। গত দুই দিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার করে তিনি চলাচলের উপযোগী করেছেন।
এলাকাবাসি জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তাটি ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন নিবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। চলতি বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে খানাখন্দে গর্তেভরা সড়কে পানি জমে খারাপ অবস্থা হয়।
যানবাহন দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়। আহত হয়েছেন অনেকেই। লোকমুখে শুনে আর সরজমিনে দেখে চুপ থাকেননি রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি এলাকার মানুষের দুর্দশা লাঘবের জন্য রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। তিনি নিজ অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার করে দিচ্ছেন। সাগরদিঘী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটিতে যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
তাছাড়া এ সড়কটি বাজারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায় যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এমন সমস্যা দেখে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন রফিকুল ইসলাম রফিক।
তার অর্থায়নে আমরা ইট, খোয়া আর বালি এনে সড়কটি মেরামতের কাজ শুরু করেছি। তিনি আরো জানান, রফিকুল ইসলাম রফিক এলাকার দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা, দরিদ্র অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সহায়তা করেন। এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে তিনি এলাকার দরিদ্র মানুষের মাঝে ব্যাপক ত্রাণ ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেন। রফিকুল ইসলাম রফিক মোবাইল ফোনে বলেন, আমি সব
সময় অসহায়-দরিদ্র মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করে থাকি। আমি আমার আয়ের একটি অংশ এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে ব্যয় করে থাকি।
এলাকার অনেকেই চলাচলের অযোগ্য-প্রায় রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করে। রাস্তাটির বেহাল ও মানুষের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরে আমি রাস্তাটি সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছি।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।