শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: নারী বৈদ্যকে দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। বাঁধা দিতে গিয়ে মেয়ে সহ গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত আরো তিনজন। এমন ঘটনায় হতম্ব এলাকাবাসী দোষীদের উপযুক্ত ও কড়া শাস্তির দাবি করেছেন।
সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৬ টার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শিলকূপ ইউনিয়নের টাইমবাজারের পশ্চিমে মোস্তাক আহমদের বাড়ীতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত হয় মোস্তাক আহমদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪২)। গুরুতর আহত হয় ফাতেমার কন্যা পাখি আক্তার (২২), তাদের বাড়ীতে থাকা আত্মীয় রাবেয়া বেগম (৩৫) ও তার কন্যা বৃষ্টি (১০)।
স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আহতদের প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থা অাশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চমেক নিয়ে যাওয়ার পথে ফাতেমার মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিৎ করেন তার ছেলে বাদশা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মু. এহছান (২২) একই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড মাইজ পাড়া মেহেরজান বাপের বাড়ীর ইব্রাহীম প্রকাশ বদরইগ্যার পুত্র। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
স্থাননীয় ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, 'ফাতেমা বেগম হাজিরা দেখার কাজ করে। তার কাছে এহছান নামের যুবকটি ফাতেমার কাছে ডাব পরার জন্য আসেন। এহছান ফাতেমাকে বলেন, আমি এক মেয়েকে ভালোবাসী। তাকে আমি পেতে চাই। কিন্তু ফাতেমা ডাব পরা দিতে অসম্মতি জানালে মুহূর্তেই ক্ষীপ্ত হয়ে বাড়ীতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত দা দিয়ে প্রথমে ফাতেমাকে এলোপাথারি কোপিয়ে রক্তাক্ত করে। প্রথমে বাড়িতে, পরে বাড়ি থেকে বের করে রাস্তায় দা দিয়ে ঘাড়ে, পিঠে, মাথায় যখম করে। বাধা দিতে গিয়ে পরে বাড়িতে থাকা আরো তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে সে।'
বাঁশখালী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, 'ঘটনার সঠিক তথ্য যাচাই করে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এহছান নামের যুবককে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।'
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।