নূরুজ্জামান খান: ১ আগষ্ট থেকে রপ্তানিমুখি শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার ঘোষনায় বকশীগঞ্জ থেকে দলে দলে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ।
৩১ জুলাই শনিবার সকাল থেকে বকশীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্টেশন গুলো হুমড়ি খেয়ে পড়েন এসব কর্মজীবী মানুষ। আবার এসব কর্মজীবীরা তিন গুণ ভাড়া দিয়ে বিকল্প যানবাহনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এতে করে তারা ভোগান্তি উপক্ষো করে হলেও ঢাকায় যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বিকল্প যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন। ঢাকাগামী এসব মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকারের এমন দ্বৈত সিদ্ধান্তে তারা হতাশ হয়েছেন। চাকুরী বাঁচাতে ও জীবিকার তাগিদে তাদের কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার বিকল্প নেই । তাই তারা সকল বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করেই গন্তব্যে যেতে চাইছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা অটো রিকশা, স্যালো মেশিন চালিত ভটভটি, সিএনজি, ভ্যান , ট্রাক, মিনি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান দিয়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যাচ্ছেন ।
এদিকে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা বা লকডাউন কার্যকর করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম আরো জোরদার করেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও ) মুন মুন জাহান লিজা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ¯িœগ্ধা দাস লকডাউন অমান্য কারীদের জরিমানা করছেন।
বকশীগঞ্জ ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা জানান, লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন সবটুকু চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছি। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে মানুষকে এব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।