শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সিনজেন্টা কোম্পানী কীটনাশক না পাওয়া বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
এ বিষয়ে ১২ ডিসেম্বর স্টকিট রফিকুল ইসলাম হেড অব সেলস সিনজেন্টা বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর আবেদন দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম স্টকিট হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় প্রায় ১৫ টি বাজারে সিনজেন্টা কীটনাশক সরবরাহ করে আসছে।
তিনি প্রায় ১১ বছর থেকে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছেন এবং ওই কোম্পানীর সাথে স্টকিটের লাখ লাখ টাকার লেনদেন হচ্ছে।
এদিকে সিনজেন্টা কোম্পানীর এস.পি.ও মিলন দীর্ঘ দিন এই এলাকায় কর্মরত থাকায় বিভিন্ন সময় দূর্নীতি ও অনিয়ম করতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করায় স্টকিট রফিকুলের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এতে মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে শেরপুর এলাকায় কর্মরত মার্কেটিং সেলস ম্যানেজার মিজানের সাথে যোগসাজসে রৌমারী উপজেলার বাজারগুলো দুই ভাগে বিভক্ত করেন এবং আশরাফুল ইসলাম নামের আরেকজনকে নতুন স্টকিট হিসেবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ তুলেন স্টকিট রফিকুল।
অপর দিকে মার্কেটিং সেলস ম্যানেজার মিজান ক্রেডিট নেওয়ার কথা বলে স্টকিট রফিকুলের কাছে ৪৫ লাখ টাকার চেক হাতিয়ে নিলেও কীটনাশক সরবরাহ করা হচ্ছে না।
এতে স্টকিট রফিকুল ইসলাম রৌমারী ও রাজিবপুরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে পাওনা প্রায় ২২ লাখ টাকা উঠানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অপর দিকে সিনজেন্টা কোম্পানীর নাম ভাঙ্গিয়ে নকল কীটনাশক বাজারজাত করায় প্রতারিতও হচ্ছে কৃষক।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ আরএসএম আসাদুজ্জামান মাসুদ জানান, স্টকিট রফিকুল ইসলাম আমাদের কোম্পানীর সাথে ব্যবসা করত।
পরে তাকে বাদ দিয়ে অন্য জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।