সেবা ডেস্ক: আমরা সবাই জানি, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের উপর বিয়ে ফরজ করা হয়েছে। বিয়ে মানব জীবনকে সুন্দর ও পরিপূর্ণ করে। তবে বিয়ে করলেই হলো না। বিয়ের কিছু নিয়ম কানুনও রয়েছে। যা মেনে চলা জরুরি, নইলে সেই বিয়ে হালাল হবে না।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন মুসলমানদের বিয়েতে অন্তত চারটি শর্ত যদি কেউ না মানে, তাহলে ওই বিয়ে কখনো হালাল হয় না। তাই মুসলমান হিসেবে সেই চারটি শর্ত অবশ্যই জানা জরুরি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই শর্তগুলো-
>> ইশারা করে দেখিয়ে দেওয়া কিংবা নামোল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেয়া।
>> বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। এর দলীল হচ্ছে নবী (সা.) বলেছেন, “স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা) কে তার সিদ্ধান্ত জানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকে চাওয়া হবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে) বিয়ে দেওয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) বিয়ে দেওয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব (যেহেতু সে লজ্জা করবে)। তিনি বললেন, চুপ করে থাকাটাই তার সম্মতি।” [সহীহ বুখারী, (৪৭৪১)]
>> বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন।
>> বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোনো বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।
বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।” [মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।